সুইটি রাণী বণিক।।
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা যে আন্দোলন করে চলছে, তার কোন বিরাম নেই! এর নাম কি? মৌলিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন জাগছে আমাদের।
আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রাখি!
আজ দেশব্যাপী হাজারো শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা রাজপথে মিছিল করছে মরণপণ লড়াই! মনে হচ্ছে, দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে ঘুণ ধরে গিয়েছে অযোগ্য মানুষের নেতৃত্বে।
এখনো সময় আছে দেশনেত্রী সোনার বাংলাকে বাঁচান! এই দেশ কারো ব্যক্তিগত নয়, এ দেশ সকলের!
সাধারণ মানুষের রক্তে ঐ পতাকা এখনো লাল।
যে দেশের আইনি প্রশাসনে নিয়ম ঠিক থাকে না, সেখানে অনিয়ম তো বাসা বাঁধবেই।
আহ্বায়কদের সফল নেতৃত্বে, আপ্রাণ চেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে ১৩ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াই।পালিত হচ্ছে চলমান কর্মসূচি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গত ৭ জুলাই ঢাকার বার কাউন্সিলের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। একইদিন বিকেলে আমরণ অনশন শুরু করে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে। সুপ্রিমকোর্টে আমরণ অনশনের পর আবার বার কাউন্সিলের সামনে চলে অনশন কর্মসূচি। বর্তমানে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিদিন অনশন কর্মসূচি চলছে।
জানা যায়, শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের আইন পেশায় তালিকাভূক্তির দীর্ঘ পরীক্ষা জট ও বর্তমান উদ্ভুত করোনা ভাইরাস জনিত কারণে তাঁদের পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বার কাউন্সিলের নিয়ম অনুসারে বছরে দুইটি আইনজীবী তালিকাভূক্তির কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে না। এমনকি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে একটা পরীক্ষা সমাপ্তের কথা থাকলেও সেটাও সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। ফলে এ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের জীবনে নেমে এসেছে দূর্ভোগ। ফলে প্রিলি পাশকৃত শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের রিটেন ভাইভা মওকুফ করে গেজেটের মাধ্যমে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির জন্য চলছে এ কর্মসূচি। ভূক্তভোগীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি পালনসহ আগামীতে ছাত্র-অভিভাবক মহাসমাবেশের ডাক দিবেন বলে জানা যায়।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের দাবি- যেহেতু বর্তমান করোনা পরিস্থিতে ২০১৭ ও ২০২০ সালের এমসিকিউ উত্তীর্ণদের রিটেন ভাইভা পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেটা কেউ জানে না। তাই প্রিলি পাশকৃত ২০১৭ এবং ২০২০ সালের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের গেজেটের মাধ্যমে সনদ দেওয়া হোক।
পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন, মানবিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতীকী অনশনের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির দৃষ্টি আর্কষণের সম্মিলিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রায় ৯০,০০০জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্য থেকে মাত্র ১২,৮৭৮ জন প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের অবশিষ্ট পরীক্ষা মওকুফ করে সরাসরি তালিকাভুক্তির দাবিতে বিগত ২৬দিন ধরে একটানা কর্মসূচি পালন করে আসছি।
মানবিক দিক বিবেচনা করে নিয়ম অনুযায়ী তাদের আন্দোলনের সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত বলে সকলে মনে করছেন।