জবি করেসপন্ডেন্ট:
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসারত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলী । সবশেষ প্রায় ১৬ দিন আইসিইউতে ছিলেন তিনি। ডেঙ্গুর সঙ্গে তার করোনা পজিটিভ ছিলো। এরমধ্যে প্রথম দফায় গত ২১ জুন লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলেও ২৯ জুন তা খুলে দেওয়া হয়। এরমধ্যে তার কিডনি অকার্যকর হয়ে পরে। সর্বশেষ ৫ তারিখ আইসিইউতে থাকা অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে আবার লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বুধবার (৭ জুলাই) ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ডেঙ্গু ও করোনার সাথে লড়াই করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন জবি ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলী।
এর আগে গত ২০ জুন স্বামীকে ট্যাগ করে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে সাঈদা নাসরিন বাবলীর শেষ স্ট্যাটাসটি ছিল ‘‘প্রচণ্ড জ্বর, আমি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছি।’’ বুধবার ভোরে তার স্বামী ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘সব শেষ। আজ ভোর ৪টায় আমার সহধর্মিণী সাঈদা নাসরিন বাবলী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।’ তার স্বামী ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বাংলাদেশ হাইকোর্টে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইনজীবী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য। এ ছাড়াও তাদের ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন অনেকেই। এ ছাড়াও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্চুরী কমিশিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
উল্লেখ্য, সাঈদা নাসরিন বাবলীর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোল্ড মেডেল পাওয়া এই শিক্ষিকা ৩২তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষা ক্যাডারে হয়েছেন প্রথম। তার লেখা বেশ কিছু বই রয়েছে।
ভার্সিটিনিউজ/যোগেশ