২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, রাত ৮:১৮
শিরোনাম :
শিরোনাম :
গ্রীষ্মের তীব্র গরম কথন অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

মা, গো আজ তুমি মেঘের আড়ালে !

রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

সুইটি রাণী বণিক


মা, তুমি নেই কিছু নাই জগৎ-সংসার!

মানুষগুলো কেমন যেন, বিবর্ণ।রঙ তাদের বাইরে কেবল, ভেতরে পাষাণ পাথরে ঘেরা! মা তুমি কত সামান্যতেই কত খুশি হতে, বর্ষায় নৌকা বেয়ে যদি তোমায় কলমির ডাটা, আর শাপলা তুলে এনে দিতাম তুমি কত খুশি হতে মাগো। দুষ্টমি করে কিছু মাছ ধরে আনলে তুমি কত খুশি হতে, আমাদের এই ক্ষুদ্র আনন্দ অনেক বড় সৌখিনতার স্মৃতিবহন করে, হয়তো করবে হাজার বছর ধরে আমার মনের মাঝে। শুধু তুমি নাই মাগো, এ আমার জন্ম-জন্মান্তরের  বিরহ ব্যাথা! মাগো তুমি একদিন বলেছিলে আমি যেন মনের মত কাউকে খুঁজে নেই, আর আমি বলেছি তুমি যার হাতে তুলে দাও আমি তাতেই রাজি। মা অনেক খুশি হয়েছিল, এবং আমি তাই করেছি।

মাগো মানুষকে খুশি করা, বক্ষ চিড়ে হৃদপিণ্ড দেওয়ার মত কষ্ট, তবুও নির্বোধ মানুষগুলো ভালোবাসার ব্যাখ্যা বোঝে না!! তবুও কেন মা, গো হারায়ে গেলে পরের জগতে? মা, তুমি আত্মীয়, অনাত্মীয় সকলকে ভালোবাসতে তোমার সকল গুণে তুমি গুণান্বিত, তুমি দেবীর মত সরল মনে আমাদের কল্যাণ চাইতে। তুমি ছাড়া আর কেউ যেন নাই পাশে, সকল আত্মীয়রা আর আমাদের কুশল কামনা করে না, বৈরী করে চলার পথে, রঙিন অভিনয়ে।  আমরা সব বুঝেও অবুঝের মত নীরবে তোমার ধৈর্যের পথ অনুশীলন করি, মা, গো তুমি কেমন করে এত ধৈর্য ধরেছিলে, এ জগৎ-সংসার শুধু চাই-চাই করে ক্ষুধার্ত পশুর মত।

মা, তোমার মত আমিও আজ মা। তখন যা বুঝতাম না, এখন তা বুঝিগো মা। তাইতো তোমায় অমন করে অনুভব করতে পারিনি আজ যেমন করে মনের ভেতরটায় নীরবে কাঁদে। আজ তুমি নেই পাশে। মা, মা-গো কত অজানা অপরাধ করেছি তোমার  সাথে, ক্ষমা কর তোমার এই এতিমের মত অসহায় সন্তানকে।

তুমি ওইপাড় থেকেও আমার পাশে আছ, সকল বাঁধা-বিঘ্নের পথের কাঁটায়; আমি তা হৃদয়ঙ্গম করি তুমি এক অদৃশ্য ছায়া হয়ে থাক আমার খুব কাছে, তাই আমি আর ভয় পাই না এই জগৎসংসারে বৈরী মানুষদের।

তুমি বলতে, ‘যে কয় সে বড় না, যে সয় সেই বড় হয়!’
আমি আজীবন তোমার কথা, গায়ত্রী মন্ত্রের মত ধারণ করেছি মনন্তরে!  মা, মাগো তোমার আঁচলের ছায়া নাই বলে, চিরদারিদ্র্যের ছায়া আমাদের মনে। তুমি ভাল থেকো যেখানেই থাক।
নদীর ওই পারে আমাদের জন্য অপেক্ষা কর মাগো, এ জীবননদী সমাপ্ত হলে, জীবনের সব হিসেবে শেষ করে চলে আসব তোমার কাছে, এখানে শান্তি নেই; অভিনয়ের দুনিয়া; মন বলে কিছু নেই যেন কারো; সকলে ক্ষুধার্ত- যেন এরা জীবন্ত মানুষ গিলে ক্ষেতে চায়!

মা এ জীবন সমাপ্তি পর তোমার চরণতলে চির সুখ খুঁজে নেব।
তুমি ছায়া হয়ে পাশে থেকো মা। তুমি ছাড়া কাউকে অমন করে ভালোবাসা যায় না মা,গো! তুমিও ভাল থেকো পরের জগতে!!

( লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক, আইনজীবী, এম এ বাংলা)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর