জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক সপ্তম পর্বে মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশত জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলা বিভাগ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ড. রাশিদ আসকারী বলেন, “মেধা ও শ্রমের সমন্বয়ে মধুসূদনের সৃষ্টি আর প্রজ্ঞাবান সাহিত্যিকরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, মেঘনাদবধ কাব্য তার এক অনবদ্য সৃষ্টি। বহু ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করার পর তার উপলব্ধি হয় যে, ভালো সাহিত্য একমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই রচিত হওয়া সম্ভব। তবে বর্ণবাদী আচরণের স্বীকার হয়ে মধুসূদন বিফল মনোরথ নিয়ে বাংলায় সাহিত্য রচনা শুরু করেন।” তিনি আরো বলেন, “ইংরেজি ভাষা শিখে আমাদের সেই সম্রাজ্যবাদ পতিদের তাদের ভাষা দিয়েই আক্রমণ করতে শিখলাম এবং যারা যারা আক্রমণ করেছে কিংবা ঐতিহ্যবাহী সেই সাংস্কৃতির ফসিলকে সরাবার চেষ্টা করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম মধুসূদন দত্ত।” সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেমিনার কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস।
সেমিনারে ‘মিশনারী ইতিহাসতত্ত্ব ও তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও তৎকালীন সমাজের পর্যালোচনাঃ ১৮২৪-১৮৭৩’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম তানভীর আহমদ এবং ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ মোঃ আরিফুল আবেদ।
এছাড়া আলোচকবৃন্দ হিসেবে ছিলেন বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।