১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, সকাল ৮:৪১
নোটিশ :
Wellcome to our website...

ভালোবাসার ভাষা

রেজওয়ান আহমেদ
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

বর্তমান

না, আমি বসব না একমুহূর্ত। তোর কাছ থেকে আমি মুক্ত এখন! চললাম। লজ্জা থাকলে পথ আটকাতে আসবি না। প্রাঞ্জল বাংলায় দৃঢ় গলায় কথাগুলো বলে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। একটু পর উল্টোদিকে হাঁটা ধরেছে শ্যামলী।

সবুজের বাম গালের ওপর স্পষ্ট পাঁচটা আঙুলের ছাপ। কিন্তু দেখার উপায় নেই। ছাপটা আপাতত সবুজের হাতের আড়ালে। কয়েকমুহূর্ত আগেই সশব্দে একটা চড় মেরেছে তাকে শ্যামলী।

একটা রাষ্ট্র যেমন এক ঘোষণায়ই অত্যাচারী শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়, শ্যামলীও এখন সবুজের নিয়ন্ত্রণের বন্ধন থেকে মুক্ত। ঝাঁ ঝাঁ করতে থাকে সবুজের বাম কান। সে যতই পিছু ডাকতে চায় শ্যামলীকে, তার গলা থেকে আওয়াজ বেরোতে চায় না। কানে আঘাত লাগে চোয়াল ফাঁকা করতে গেলেই।

কিছু ভেবে পায় না সবুজ। কী এমন অপরাধ তার?

বেশ কদিন আগে

গায়ের জোরে দরজাটাকে ধাক্কা মেরে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েছে শ্যামলী। ছলছল চোখদুটো মোবাইলের স্ক্রিনে। ওপাশ থেকে অবিরত একটা বিরক্তিকর আওয়াজ আসে থেমে থেমে আর বড়ো একটা বিপ শব্দের পর সংযোগের চেষ্টা ব্যাহত হয়। একবার, দুবার, তিনবার।

একটু আগে ফেসবুকেও ওকে ব্লক করেছে সবুজ। সবুজ চৌধুরী। দারুণ সব কবিতা লিখে ওয়াল ভরিয়ে রাখে। ওর একটা লিখেই ত পরিচয় শ্যামলীর সঙ্গে। লিখেছিল—

একদিন রহস্য হয়ে যাব

সমাধান খুঁজে কেউ পাবে না!

একদিন হিমদেশে চলে যাব

আমার সাথে কেউ যাবে না!

 

একদিন সব ছেড়েছুুড়ে দিয়ে

ভবঘুরেবাদ নিয়ে সুখী হব

সেইদিন হয়তোবা শান্তিতে

আমার আমির মুখোমুখি হব!

 

ভালো লাগে না ভালো লাগে না

চাঁদ-তারা-সূর্য-পৃথিবী

আকাশে বা সমুদ্রে যা দেখি

লেখা শুধু কষ্টের দিনলিপি!

 

শতবর্ষের ভাঙা রাজবাড়ি

ইষ্টকগাত্রের ছত্রাকে

হলদে বা সবুজাভ শৈবালে

স্মৃতির কোষ্ঠীকাল লেখা থাকে!

 

করোটির গহীনের কোঠরে

স্মৃতি যা ফসিল করে রেখেছি

আজ খোলা আকাশের ক্যানভাসে

মেঘের ভেলায় তারে দেখেছি!

 

বিয়োজন প্রক্রিয়াই চলমান

মনোসংযোগ দিতে যত চাই

যত দেখি সবকিছু ঠিকঠাক

অচেনা বিয়োগব্যথা তত পাই!

 

কপালের সাথে সারা এই জীবন

যুদ্ধটা দিতে চায় শেষ করে

কপাল না হয় বিজয়ীই হোক

জীবনকে বকে দেবো বেশ করে!

 

ইষ্ট গাত্রের ছত্রাক আপনি দেখেছেন?— মন্তব্যের ঘরে লিখেছিল শ্যামলী। এইরকম মন্তব্যই বোধকরি খুঁজেছিল বহুকাল সবুজ চৌধুরী। ওয়াও, চমৎকার, দারুণ, অসাধারণ— এই বিশেষণগুলো তার চোখের বিষ হয়ে উঠেছে বহুদিন হয়। এসবের জবাবে কিছু স্বয়ংক্রিয় মন্তব্য করে রাখলে পোস্টে রিচ ঠিক পাওয়া যায়। কিন্তু যা পাওয়া যায় না, তা পাওয়া যায় শ্যামলী ইয়াসমিন মন্তব্য করলে। ওর ছোটো ছোটো মন্তব্যেরও কী শক্তি, তা ওই ওয়াওঅলারা বুঝবে না। আবার আড়ালে সবুজ-শ্যামলীর কল্পিত রসায়ন নিয়ে ফিসফাস করতেও ছাড়বে না।

 

ওই গ্রুপটার সদস্যসংখ্যা কয়েকলাখ। কিন্তু সবুজের লেখায় মন্তব্য করে মোটে কয়েকজন। তবে এদের মধ্যে যে নামটা সবচে বেশি আসে সবুজের নোটিফিকেশন বারে, সেটা শ্যামলী ইয়াসমিন। সবুজের আইডির রিচ বাড়ানোর কাজ এভাবেই গোপনে করে গেছিল শ্যামলী। তারপর একদিন হুট করে লিখে ফেলেছিল কী ভেবে— ০১৭৮৪৩৬৫৩৬৪, এটা আমার নম্বর। কল করবেন যদি মন চায়।

 

আবার আনব্লক করবে সবুজ। এমনটাই হয়। কোনো কারণে শ্যামলীর ওপর মেজাজ গরম হলে সবুজ একটা নোটিশ দেয়— তোমার সঙ্গে দুইদিন কথা বন্ধ। ঠিক আটচল্লিশ ঘণ্টা পার করেই কল করে সে। এক মিনিট আগপিছু হয় না এ হিসেবে।

 

জানে শ্যামলী। তবু ঘরময় সকলকে দরজার আড়ালে রেখে ন্যাকাকান্না কাঁদবে। দরজার আবডাল থেকে কান পাতলে ওর কান্না শোনা যাবে। জানে শ্যামলী।

 

জেনেও কাঁদে। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি ওঠে একেকবার। কথায় কথায় একবার এ নিয়ে আলাপ জমিয়েছিল সবুজের সঙ্গে। সবুজ বলেছিল কান্নার সময় জিভ কামড়ে রাখতে। তাতে শব্দটা বেরোবে কম। একটু কষ্ট হবে। আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে। হয়েছিলও তাই।

 

কান্না বা হাসি কোনোটারই অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস ভালো ফল আনে না। সবুজের পরামর্শ মেনে দুই ক্ষেত্রেই জিভ কামড়ে রেখে গমক আটকাতে শিখে গেছিল শ্যামলী। আর সবুজ শিখে গেছিল নারীর কান্না দেখতে।

 

শ্যামলীর জীবনের উত্থান-পতনের অনেকটাই জানে সবুজ। জীবনের যেসব কথা কাউকে বলা যায় না, সেসব কথার সবই সবুজকে জানিয়েছে সে এই কবছরে। একেকবার কুই দিয়ে কান্না এসেছে। সবুজ তখন শ্যামলীর হাতে হাত রেখেছে। পরম নির্ভরতার হাত। বাবার পরে যে পুরুষের পরশ শ্যামলীর সবচে বেশি আরাধ্য এবং পরিচিত, তার জীবনে সে পুরুষ হয়েছে সবুজ।

 

সবুজের হাতের প্রথম স্পর্শ শ্যামলীর মাথায়। এরপর যতবার চুল আঁচড়াতে বসেছে সে ড্রেসিং টেবিলে, সন্তর্পণে চিরুনি বুলিয়েছে। সবসময়ই মনে ভেবেছে— চিরুনির আঁচড়ে না আবার সবুজের হাতের স্পর্শ মুছে যায়! এমন পাগলামির খবর কখনো জানতে পারেনি সবুজ।

 

হয়তো সে ভুলেই গেছে অমন মাথাছোঁয়া স্নেহ সে দিয়েছিল শ্যামলীকে। অথবা মনে রেখেছিল। সেদিনই যে নিঃশব্দ অশ্রুপাত ঘটেছিল শ্যামলীর দুচোখে। হাত নামিয়ে তর্জনীর পোঁচে সবুজ মুছে দিয়েছিল শ্যামলীর ভেজা দুগাল।

 

সেদিন জেনেছে সবুজ— নারীর কান্না নিঃশব্দ। কাঁদতে কাঁদতে অধর বেঁকে যায়। তাও শব্দ পাওয়া ভার। বিবর্ণ একটা কীসের ধারা নেমে গেছিল শ্যামলীর ফুলে-ওঠা গাল বেয়ে। হাতে উষ্ণতা পেয়েছিল সবুজ। যেন কত হাজার বছরের সঞ্চিত লাভা।

 

শ্যামলীর কাছে সবুজের ঋণ বৌদ্ধিক। তার কাছে ত শুধু সৌন্দর্য পায়নি সবুজ। বোধও পেয়েছে। একেবারে যাকে বলে বিউটি উইথ ব্রেইন! এই দুই ব্যাপার একসঙ্গে পাওয়া অনেক বড়ো ভাগ্যের। তবু সবুজ এমন করে। শ্যামলীকে কাঁদাতেই তার যত আয়োজন।

 

তাকিয়ে থাকে শ্যামলী কড়িকাঠের বরাবরে। ক্ষণ গণনা করে অধীর হয়ে ওঠে। কখন কাটবে দুদিন? কখন বেজে উঠবে মুঠোফোনের বাঁশি? সে বাঁশি ধক করে কলিজায় আঘাত করবে।

 

টিকটিক শব্দ শুনতে পায় শ্যামলী নিজের অজান্তেই। পলে পলে পল হারায়। তবু কাটতে চায় না আটচল্লিশ ঘণ্টা। অথবা আটচল্লিশ বছর।

 

একসময় বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠ চিড়ে সুর খেলা করে যায়—

 

বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে

হৃদয়ে দিয়েছ দোলা

রঙেতে রাঙিয়া রাঙাইলে মোরে

এ কী তব হরি খেলা?

তুমি যে ফাগুন

রঙেরও আগুন

তুমি যে রসেরও ধারা

তোমার মাধুরি

তোমার মদিরা

করে মোরে দিশাহারা…

 

শচীন দেব বর্মণের গান। অথবা মীরা দেব বর্মণের। সকলে অবশ্য একথা জানে না। কেউ কেউ জানে— মীরা দেব বর্মণের লেখা এসব কথায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন শচীন দেব বর্মণ।

 

সমাজ আশ্চর্য রকমের বেয়াড়া। সে বোধকরি কেবল শচীন দেব বর্মণের গান বলেই একে স্বীকৃতি দিতে ব্যস্ত। মীরা দেব বর্মণের কথা বেমালুম ভুলে যেতে উষ্কানি দেয় এই সমাজের আশ্চর্যনিষ্ঠুর পিতৃতান্ত্রিকতা। অথচ এ গানের কথায় নারীর প্রেমাকুলতারই জয়জয়কার। নারীকে ছলনাময়ী প্রমাণ করতে ব্যতিব্যস্ত এ সমাজে তার প্রেমের অবস্থান কোথায়?

 

বর্তমানের কিছুক্ষণ আগে

 

ফেসবুকের পোস্ট, কমেন্ট, মেসেঞ্জারের মেসেজে যে মানুষটা এত সুন্দর নির্ভুল বাংলা লেখে, সে কেমন করে এরকম এবড়োখেবড়ো ভাষায় কথা বলে, ঠিক মেলাতে পারে না সবুজ। আজ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনার খঞ্জর’-এর মোড়ক উন্মোচন হবে কিছুক্ষণের মধ্যে। শ্যামলী আর সবুজের প্রেমের কথা অনলাইন-অফলাইন দুই জগতের সকলেরই জানা। অনুমিতভাবেই মঞ্চে কথা বলতে হবে শ্যামলীকে। এত সভ্য লোকের ভিড়ে ওই অসভ্য অসংস্কৃত ভাষায় যদি কিছু বলে ফেলত শ্যামলী, সেই ভয়েই বারবার ঢোক গিলতে হচ্ছিল সবুজকে।

 

সেদিন সবুজের মন না চাইলেও কদিন বাদে ঠিক মন চেয়েছিল কল করতে। শুরুর দিকে হু-হাঁ করে কথা চালালেও দুচারকথা শেষে আচমকা শ্যামলীর মুখ থেকে বেরিয়ে গেছিল একটা সরল প্রশ্ন— আফনে বালা আছুইন?

 

সবুজের কানের ভেতর কেউ যেন উত্তপ্ত সীসা ঢেলে দিয়েছে এ প্রশ্নে। নিজের কানকে তার বিশ্বাস হয়নি কিছুতেই। যার লেখা এত সাবলীল বাংলা, তার কথায় এমন আঞ্চলিকতা কী করে আসে? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছিল না।

 

একথা সেকথায় অনেকবারই বোঝাতে চেয়েছে তারপর সবুজ। বোঝাতে চেয়েছে তার সমাজে চলতে হলে ত্যাগ করতে হবে ওই দুর্বোধ্য আঞ্চলিক টান। এরপর থেকে যা বুঝিয়েছে সবুজ, তা বুঝে চুপচাপ এমন অপমান সহ্য করে নীরবে ভালোবেসে গেছে তাকে শ্যামলী। অথচ বুঝতে পারেনি একক চেষ্টায় গড়ে তোলা অব্যক্ত ভালোবাসার ঘরের কোনো এক অদৃশ্য ঘুলঘুলি-পথে নিঃশব্দে পালিয়ে গেছিল সবুজের ভালোবাসা।

 

সবুজের লোকদেখানো ভালোবাসা গড়িয়েছিল ভাষা প্রমিতকরণ পর্যন্ত। জিভের জড়তা কাটানোর নাম করে ভালোবাসার বর্ষপূর্তিতে মার্বেল উপহার দিয়েছে সবুজ শ্যামলীকে। শুধু নিজের বদনামের দিকটা ভেবে সম্পর্ক ভেঙে দিতে সাহস করেনি সে। এখানেও ত প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত স্বার্থপরতার।

 

এ সবই শ্যামলী বুঝেছে। তবু চুপচাপ ভালোই বেসে গেছে সবুজকে। কারণ সে জানত সবুজ চৌধুরীকে ছেড়ে যাওয়া মানে একজন সম্ভাবনাময় কবির কাব্যপ্রতিভায় ক্ষতদাগ লাগিয়ে চলে যাওয়া। সে কাজটা করার সাহস হয়নি শ্যামলীর।

 

নিজে নিজেই যথেষ্ট ঝালিয়ে নিয়ে মঞ্চে ওঠে মেয়েটা। তারপর মাইক্রোফোন হাতে পেয়ে শুরুতে কিছুটা জড়ানো কণ্ঠে বলতে শুরু করে দেয় মুখস্থ কয়েকটা কথা। কথাগুলোর সবই ঠিক ছিল। কিন্তু শেষ বাক্যে এসে বিধিবাম। আমি কবির ‘বেদনার কঞ্জর’ কাব্যগ্রন্তের সাফল্য কামনা করি। কথা শেষ করে মাইক্রোফোন পাশেরজনকে দিতে যেই ঘুরিয়েছে চোখ, দেখে একজোড়া রক্তচক্ষু তার দিকে আগুন ছুড়ছে যেন।

 

ধনুক থেকে বেরিয়ে যাওয়া তিরের মতোই মানুষের মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া কথা। যে কথা একবার বলা হয়ে যায়, তা আর ফিরিয়ে নেওয়ার উপায় থাকে না। শ্যামলীর সেই ভুল বাক্য আর কী করে শোধরায় তখন? তবু শোধরাতে হাজির সবুজের রক্তচক্ষু।

 

মোড়ক উন্মোচনপর্ব শেষে সকলে চলে গেলে শ্যামলীর হাত ধরে টেনে-হিঁচড়ে মঞ্চ থেকে নামায় সবুজ। টানতে টানতে নিয়ে যায় উদ্যানের লেকের ধারের বেঞ্চ পর্যন্ত।

 

তুমি কেন আবার ওই গেঁয়ো ভাষায় কথা বললে? তাও এরকম একটা মঞ্চে? ক্রোধোন্মত্ত চোখ থেকে সবুজের যেন লাভা বেরোচ্ছে।

মাতৃভাষা বোঝো? মাতৃভাষা? মায়ের মুখ থেকে আমার ওই ভাষা শেখা। মায়ের মুখের বুলি আমি কী করে অস্বীকার করি? এক ঝটকায় হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে সবুজকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেয় শ্যামলী।

 

মায়ের প্রসঙ্গে সবুজ থতমত খায়। হয়তো কিছু মনে পড়ে তারও আবছা আবছা। কিন্তু সে সেসব মনে করতে চায় না। শ্যামলীকেও কিছু বুঝতে দিতে চায় না।

 

বিচক্ষণ মানুষ রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু রিপুর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় যে, সে ত আর বিচক্ষণ থাকে না। খ্যাতির লোভে সবুজ এখন অন্ধ। এই অন্ধত্বের মোচন না ঘটা পর্যন্ত সবুজকে বিচক্ষণ বলার কী উপায়? লোভ থেকেই তার নিদারুণ ক্রোধের জন্ম।

 

ততক্ষণে শ্যামলী আরও অনেক কিছু বলে ফেলেছে। চলেও গেছে মুক্তি নিয়ে। বাম কানের ঝাঁ ঝাঁ রব কমতে কমতে শ্যামলীর বলা শেষ কথাটা ফাল্গুনী বাতাসের তোড়ে কানে ভেসে আসতে চায়— তুই একটা আহাম্মক। মর তোর খঞ্জরের আঘাতে! হার্ডকভার বইটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেছে শ্যামলী। বইয়ের একটা কোণ গিয়ে লেগেছে সবুজের পুরু ঠোঁটে। আর্তনাদ করতে গেলেও ব্যথায় কঁকিয়ে উঠবে সে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর