হোক বিভাগের কোনো সেমিনার, ব্যাচের ইফতার অনুষ্ঠান কিংবা সবাই মিলে কোনো ভ্রমণ—আয়োজনের দায়িত্বে থাকবে কে? প্রশ্ন উঠলে ক্লাসের সবার দৃষ্টি চলে যায় আলিফ আরমানের দিকে। আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি।
‘স্কুলজীবনে ক্যাপ্টেন হিসেবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করি। এ ছাড়া স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছি, আয়োজক দলের সঙ্গে থেকেছি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যখন অনেক ক্লাবের সন্ধান পেলাম, মনে হলো, এ রকম একটা জায়গাই আমি খুঁজছিলাম। যুক্ত হয়ে যাই বেশ কয়েকটা ক্লাবের সঙ্গে। এভাবেই আস্তে আস্তে পরিচিতজনের পরিসরটা বড় হয়,’ বলছিলেন আলিফ। নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি গড়ে উঠেছে ছোটবেলা থেকে। অতএব, একটু বড় হওয়ার পর, কোথাও অংশগ্রহণের সময় দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি। প্রায় ১৯টি সেমিনার আয়োজন করেছেন তিনি। মাইন্ডস্পার্ক, টেকফিয়েস্তা, ইনজিনিয়াস, ইনোভেঞ্চার, ইইই ফেস্টের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে কত যে গল্প জমা হয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
আলিফ এখন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইনোভেশন অ্যান্ড ডিজাইন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকায় জন্ম, এখানেই বড় হয়েছেন তিনি। স্কুল ছিল খিলগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, আর উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেছেন ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজ থেকে।
সব সময় যে শুধু আয়োজক হিসেবেই আলিফ আরমানকে পাওয়া যায়, তা নয়। তিনি অংশ নিয়েছেন বেশ কিছু প্রতিযোগিতায়। ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে, কখনো একা, কখনো দল গঠন করে তিনি প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন। আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকনোম্যানিয়া, টেকফিয়েস্তা, সিএসই উইকের মতো রোবটিকস প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আয়োজিত টেকনোভেশনেও হয়েছেন প্রথম।