দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আগামী রোববার থেকে সশরীর ক্লাস বন্ধ ও বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সশরীর চলমান পরীক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাস ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়। প্রশাসনিক সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী রোববার থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। তবে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে একাধিক গ্রুপ করে ব্যবহারিক ক্লাস ও একাধিক কক্ষে চলমান পরীক্ষা সশরীর নেওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করাতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে করোনা শনাক্তের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তৃত করা হবে। যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকা নিতে না পারায় হলে আসতে পারছেন না, তাঁরাও একইভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে ওই পরীক্ষার ফলাফল জমা দিয়ে হলে আসতে পারবেন।
হল বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রহিমা কানিজ। তাঁর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে আপাতত চারজন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে পিকনিক স্পট ও মিলনমেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। রেজিস্ট্রারকে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।
করোনায় বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর গত ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় সশরীর ক্লাস ও পরীক্ষা।