সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে বান্ধবীকে ম্যানেজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ছাত্রীর বান্ধবীসহ দুজনকে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফাঁদে ফেলে ও নেশাদ্রব্য খাইয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ চক্র। এই মামলার পলাতক আসামি আমেরিকা প্রবাসী আবু সাইদকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। বুধবার রাতে নগরীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সোনিয়া বেগমের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল ওই ছাত্রীর। বুধবার সোনিয়া তার বান্ধবীকে বলেন, তার চাচা-চাচি আমেরিকা থেকে সিলেটে এসেছেন। নগরীর একটি বাসায় তারা থাকছেন। তাদের বাসায় সোনিয়া বুধবার রাতে থাকবেন এবং বান্ধবী ওই ছাত্রীকেও সঙ্গে থাকতে বলেন। অনেকটা জোর করেই ওই ছাত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান এবং আমেরিকা প্রবাসী আবু সাইদ ও আবু আহমদের হাতে কৌশলে তুলে দেন। রাতে বাসায় গিয়ে দেখেন চাচা-চাচি কেউ নেই। পরে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে একটি কক্ষে আবু সাইদ ও আবু আহমদ মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় ওই ছাত্রী দৌড়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন এবং মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার এক ছেলে সহপাঠীকে জানান। এরপর ওই সহপাঠীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে মাদকদ্রব্য জব্দ এবং ওই ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়া ও আবু আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সোনিয়ার কথিত প্রবাসী চাচাতো ভাই আবু সাইদ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা ধর্ষণ চেষ্টা ও পুলিশ মাদক আইনে মামলা করেছে।