অমৃত রায়,জবি প্রতিনিধি।।
বৃষ্টিস্নাত জবি প্রকৃতির যেন এক অনন্য মোহমায়ায় স্নিগ্ধতার রূপ। গ্রীষ্মের রৌদ্রে উত্তপ্ত জবির প্রতিটি ধূলিকণা যখন এক ফোটা বৃষ্টির শীতল স্পর্শ চায়, তখন প্রকৃতি মাতার সীমাহীন দরদে সিক্ত হয় প্রতিটি প্রাঙ্গণ। পুরান ঢাকার একখণ্ড সবুজের নাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঐতিহ্যের ধারক হয়ে যেমন সদরঘাট এলাকায় স্বমহিমায় মহিমান্বিত জবির ছোট্ট ক্যাম্পাস, তেমন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের দানে সুসজ্জিত এর শোভা বিমোহিত হয় চারিধার।
ঝড়ো হাওয়ায় উত্তাল হয়েও যেন এক রম্য রূও ধারণ করে। সেই জগা বাবুর পাঠশালা থেকে জগন্নাথ কলেজ নামে খ্যাতি ছড়িয়ে ঐতিহ্যবাহী ঢাকার অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম সকলের কাছে পৌঁছে গেছে এতো অল্প সময়ে এর শিক্ষার্থীদের অসাধারণ সাফল্যের কারণে।
ঐতিহ্যের অনন্য ধারক যেমন এর উপাচার্য ভবন। তেমনি এক বিচিত্র আঙ্গিকে একদম সম্মুখ দ্বারে অবস্থিত এর শহীদ মিনার।তেমনি আাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দিতে এর চেতনাকে ধারণ করে রাখতে “৭১ এর প্রস্তুতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা” নামক ভাস্কর্য।
কাঁঠাল তলায় যেমন আড্ডা জমে যায় সিনিয়র জুনিয়র সকলের এক মেলবন্ধনে, তেমনি বটতলা, মুক্তমঞ্চ ও তথাকথিত টি এস সি এবং জীম-ওয়াসি চত্বরেও শিক্ষার্থীদের অবস্থানের এক দারুণ পরিবেশ। এতো সব সৌন্দর্যের মাঝে বৃষ্টি দিনের প্রকৃতি যেন যোগ করে নতুন এক মাত্রা।
খোলা ক্যাম্পাসে যখনই মেঘের গর্জন আলোড়িত হয়, শিক্ষার্থীদের বৃষ্টি ভেজার তৃষ্ণা উন্মোচিত হয়- তা স্পষ্টতই নজরে পড়ে সকলের। সায়েন্স ফ্যাকাল্টির মাঠ প্রাঙ্গণে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলা কিংবা সাইকেল চড়ে ক্যাম্পাসের এপাশ ওপাশ ঘুরতে থাকা যেন এক মনোরম পরিবেশের পরিচয়।জবি কর্মচারীদের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থানে যদিও ক্যাম্পাস এর পরিবেশ তাদেরকে আপন করে নিয়েছে বৃষ্টিভেজা অবস্থায় কিছুটা ভোগান্তিতে পরতে হয় তাদেরও। ক্যাম্পাস জীবনে শেষ করে গেলেও এর স্মৃতিচারণে ফিরে আসতে গেলে বৃষ্টি দিনের যে অনন্য স্মৃতির সৃষ্টি হয়েছিলো মনে তা স্বীকার না করার উপায় নেই।তাইতো প্রাক্তনদের কাছে শুনতে পাওয়া যায়,”ঢাকায় এসে আমার ক্যাম্পাসেই যেন একটু অক্সিজেন পেলাম।”