সুইটি বণিক।।
বিনোদনের প্রাণ কেন্দ্র, বহুল আলোচিত এবং নারায়ণগঞ্জ এর মধ্যে একটি ডিজিটাল স্কুল হিসেবে সু-পরিচিত “বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল”!
“বারো মাসে তের-পার্বণ” মতই এই স্কুলে প্রতিটি দিবস, প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঈদে খাদ্য দ্রব্য বিতরণ, সরস্বতী পূজা, ইত্যাদি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়!
২০ জুন ছিল মৌসুমি ফলের উৎসব! এবং একে অন্যের সাথে আনন্দ -অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার দিন! স্কুলটি দেখতে যেমন সুন্দর পরিবেশ প্রকৃতি ঠিক তেমন সুন্দর তাদের মননশীলতা! মানুষের মন ও রুচি বোধের বহিঃপ্রকাশ ফুটে ওঠে তাদের কর্মে ও পথ চলায়, স্কুল পরিচালনা পরিষদের চিন্তা ধারা ও তেমনি সংস্কৃতিমনা ও উচ্চ মননশীলতায় পরিপূর্ণ!
চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফল আম, আনারস, কমলা কাঠাল, জাম, লিচু ইত্যাদি। গ্রীষ্মে বাজারে আসতে থাকে নানা জাতের ফল।
বাংলা বছরের দ্বিতীয় মাস জ্যৈষ্ঠ। সুস্বাদু ফলের অধিক সরবরাহ থাকায় সবার কাছে মাসটি মধুমাস নামেই পরিচিত। বছরজুড়ে কমবেশি ফল পাওয়া গেলেও সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় বৈশাখের শেষ সময়ে এবং জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে। এবারো বিভিন্ন রসালো ফলের সমাহার নিয়ে মধু মাসের আগমন। আর সেই মধুমাসের মধুফলে মিলবে পুষ্টি। সেই সঙ্গে মিলবে তৃপ্তিও।
আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, তরমুজ, আনারস, কলা ছাড়াও এ মাসে মিলবে লটকন, পেয়ারা, বাঙ্গি। আম, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি এবং কিছু কাঁঠাল এরই মধ্যে বাজারে চলে এসেছে। জাম, জামরুল, পেয়ারা, আনারসও পাওয়া যাবে। তবে এখানেই শেষ নয়, মাসের শেষ দিকে পাওয়া যাবে কামরাঙা, ছফেদা, গাব, আমড়া।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে গ্রীষ্মের গরম হাওয়ায় মধুরসে ভরা বিভিন্ন জাতের ফলের মিষ্টি সৌরভ নিয়ে আগমন হয়েছে জ্যৈষ্ঠের। জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে সারা দেশ মেতে ওঠবে পাকা ফলের মিষ্টি রসে। মধু মাসের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্যের সাথে। দেশীয় ফল আমাদের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহ্যের বড় একটি অংশ। জ্যৈষ্ঠ মাসের ফল পরিবেশের যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি স্বাদ ও পুষ্টিতেও অনন্য।
খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না বাঙালির রসনাতৃপ্তির মিষ্টি ফল আম, লিচু ও কাঁঠালের এই মাস। মূলত গ্রীষ্ম ঋতুর খরতপ্ত বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দুই মাসই মিষ্টি ফলের মাস। তবে তা জমে ওঠে জ্যৈষ্ঠেই। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুতে ভরে ওঠে দেশের সব ফলের দোকানগুলো। জ্যৈষ্ঠ মাস বাংলার গ্রামীণ সমাজের ঐতিহ্যেরও অনিবার্য অংশ। গ্রামের মানুষ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আম-কাঁঠালের উপহার পাঠিয়ে থাকে এই জ্যৈষ্ঠেই। শহরেও ফলের উৎসব এখন।
দিনটি ছিল খুব আনন্দের! ধন্যবাদ স্কুলের পরিচালনা পরিষদকে
তথা আয়োজকদের।