১২ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ভোর ৫:১৭
শিরোনাম :
শিরোনাম :
অমর একুশে বইমেলায় মনোয়ার মোকাররমের “আগামী বসন্তে” আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এপার-ওপার বাংলার লেখকগণ জবিতে ‘মধুসূদন ও বাংলা সাহিত্য’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত দীনেশচন্দ্র সেনের বৃহৎবঙ্গ, বাংলার লোককৃষ্টির যুক্ত সাধনার ঐতিহ্য আলোচনা সভার প্রধান আলোচক মিল্টন বিশ্বাস স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক নাসরীন জেবিন যারা কবিতা ভালোবাসে তারা স্বচ্ছ মানসিকতার হয় : কবি কামাল চৌধুরী ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর শুভেচ্ছা বিনিময় ফাঁসিতলা ক্লাব ও পাঠাগারের প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ‘‘সাহিত্যে দুই মহামানব : গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু’’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রটি অনুষ্ঠিত
নোটিশ :
Wellcome to our website...

কোন প্রতিষ্ঠান উচ্ছন্নে যাবার মূল কারণ হল – যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ মূল্যায়নে ব্যর্থতা ও অবমূল্যায়ন!

রিপোর্টার
শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

সুইটি রাণী বনিক

কোন প্রতিষ্ঠান( পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র) উচ্ছন্নে যাবার মূল কারণ হল – যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ মূল্যায়নে ব্যর্থতা ও অবমূল্যায়ন!

বিশ্বের সকল দেশ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান তথা পরিবারের উন্নয়ন প্রচার, প্রসার ঘটে, উপযুক্ত ও যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষের উপর নির্ভর করে।  

যেখানে যোগ্যতা নেই, সেখানে শিক্ষা, ধন সম্পদ কোন কিছুরই উপযুক্ত মূল্য নেই। এবং তা উন্নয়ন ও সৃষ্টির কোন কাজে আসে না। ভোগ- বিলাস, অর্থ প্রাচুর্য মানুষকে অলস করে, নির্বোধ করে তোলে। সেই নির্বোধ অনুপযুক্ত মানুষগুলো যখন কোন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দান করে, তখন তাদের সুস্থ চিন্তার অভাব বোধের কারণে;নিজেদের স্বার্থ চিন্তা করে পক্ষপাতিত্বের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব গতি পরিবর্তন করে মেরুদণ্ডহীন করে ফেলে। ফলে ভুক্তভোগী হয় সাধারণ জনগণ। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তারা অবমূল্যায়িত হয়। কথায় আছে “যত গর্জে, তত বর্ষে না “

 কোন কিছুর ফাউন্ডেশন যদি দুর্বল হয় সেখানে কোনকিছু  সৃষ্টিশীল কাজ হবে কি করে, অনুপযুক্ত মানুষগুলো যতই ক্ষমতা বলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ক্ষমতাসীন বা শক্তিশালী  মনে করে নিজকে,কিন্তু তাদের শুভ চিন্তা ও সৎজ্ঞান ও সৎ কর্মের প্রমাণ মেলে না, কোন সৃষ্টিশীল কাজে। 

উল্টো সৎ কাজে মূর্খের মত বাধা প্রদান করে। যদি কেউ ভালমানুষ হতে চায়, যোগ্য হতে চায়, তবে তাকে “ধর-বেশ নয়” বেশ-ভূষণে নয়, অন্তরে দরবেশ হতে হবে। নিজেকে কাজের মাঝে উৎসর্গ করে, ভদ্র ও বিনয়ী হয়ে,সকলের মতামত বিচার বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত মতামত প্রদান করে নিজের বিচার্য ক্ষমতার পরিচয় দিতে হবে।  তবেই নেতৃত্বের পরিচয় ফুটে উঠবে শুভ কর্মের মধ্যে।

তবেই প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান সুস্থ ও স্থীর হয়ে নিজস্ব গতিতে চলবে।এবং যোগ্য ব্যক্তিরা তাদের নিজ দক্ষতা প্রয়োগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কর্মে নিয়োজিত হয়ে সাফল্য অর্জন করবে। 

আমরা বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালে, দেখতে পাই যে,

চীনা নেতৃত্ব দানকারী ” শি জিনপিং “এর কুচক্রী নেতৃত্বে পুরো বিশ্ব আজ Covid19 মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত, ভয়ে ভিত হয়ে করুণ পরিস্থিতি সকলের; মৃত্যুর মাঝে পড়ে অসহায় আকাশের নিচে বিপুল মানবগোষ্ঠী। অন্যদিকে যোগ্য নেতৃত্ব- কানাডার প্রধানমন্ত্রি -জাস্টিন ট্রুডু  মহান মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত!  তার মহানুভবতা,দায়িত্ব বোধ, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, সমস্ত বিশ্ববাসীর মনকে স্পর্শ করেছে। 

তাই বলা যায়, শিক্ষিত সকলে হতে পারে, ক্ষমতা বলে নেতা  ও হতে পারে, কিন্তু  শুভ চিন্তা ও ন্যায় কাজ ক’জন করতে পারে? মানুষ বাঁচে কয়দিন? তাই চলুন সকলে যোগ্য হয়ে উঠি! একা ভোগ দখল নয়, চলুন সকলে মিলেমিশে ভাল থাকি, সুস্থ  হয়ে বাচি । সর্ব স্তরের উন্নতি ঘটাই। যেন কেউ উচ্ছন্নে না যাই!

( লেখক : প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, এম.এ. বাংলা , এল.এল.বি, swityrani17@gmail.com)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর