অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই অবস্থান বাহাদুর শাহ পার্কের । জমির মূল ফটক থেকে বের হয়েই হাতের বামে একটু এগোলেই কিংবা তিন নাম্বার ফটকের ঠিক সামনেই দেখা যায় সারি সারি কাঠগোলাপ গাছের সমারোহ। বসন্তের বাতাবরণ শেষ হতে না হতেই কাঠগোলাপের বহুধা রঙের সাজে সেজেছে গাছগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা ও আড্ডার এক অন্যতম স্থান বাহাদুর শাহ্ পার্কের বর্তমান সংস্করণ যেন এমনিতেই এক নতুন সাজ। সদ্য ফোটা কাঠগোলাপের মায়াতে আরো মনোমুগ্ধকর রূপ ধারণ করেছে বাহাদুর শাহ পার্ক।
আঠার শতকের শেষের দিকে এখানে ঢাকার আর্মেনীয়দের বিলিয়ার্ড ক্লাব ছিল। যাকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছিল আন্টাঘর। বিলিয়ার্ড বলকে স্থানীয়রা আন্টা নামে অভিহিত করত। সেখান থেকেই এসেছে ‘আন্টাঘর’ কথাটি। ক্লাব ঘরের সাথেই ছিল একটি মাঠ বা ময়দান যা আন্টাঘর ময়দান নামে পরিচিত ছিল। ১৮৫৮ সালে রানী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার গ্রহণ করার পর এই ময়দানেই এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা পাঠ করে শোনান ঢাকা বিভাগের কমিশনার। সেই থেকে এই স্থানের নামকরণ হয় ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’।এই ভিক্টোরিয়া পার্ককে ঘিরে সাজানো কাঠগোলাপ গাছের সমারোহ যেন বরাবরই মনোমুগ্ধকর ও বহু রূপে রূপায়িত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য শোভাকে।
যদিও কাঠগোলাপ সারাবছরেই পাওয়া যায়, তবে গ্রীষ্ম,বর্ষা আর শরতের অনন্য আকর্ষণ এই কাঠগোলাপ। রমণীয় খোপায় যেমন এটি মানায়, ঠিক তেমনি মানায় জবির দুয়ারে তার অপরূপ সৌন্দর্য্র সমারোহকে আরো বিমোহিত করতে।
রাজধানী অন্যতম ব্যস্ত এলাকা সদরঘাটের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেমন এক অনন্য পাঠশালা, তেমন একে ঘিরে সৌন্দর্য শোভার অন্যতম জায়গাও এই জবি ক্যাম্পাসের দ্বারপ্রান্তে ভিক্টোরিয়া পার্কের অনন্য শোভা। পুরান ঢাকার এক অনন্য আকর্ষণ।