স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ দিলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে , এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে । দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আগামী ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজ ও ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আরেক দফায় ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনিশ্চয়তা আরো বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গত ১৭ মে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফের করোনা টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছেলে-মেয়েদের টিকা দেওয়া গেলে তাড়াতাড়ি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে কবে নাগাদ এ প্রক্রিয়া শুরু বা শেষ হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছেলেমেয়েদের টিকা দেওয়া গেলে তাড়াতাড়ি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। সরকার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে, ইউনিভার্সিটি বা কলেজের যে হোস্টেলগুলো আছে সেগুলোতে অলরেডি ৪০টির মতো সংস্কার শুরু হয়ে গেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব কাজ শেষ করার নির্দেশনা আছে বলেও জানান সচিব।
সূত্র জানায়, দেশে আসা চীনা টিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এছাড়া সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও আগে জানিয়েছিল সরকার। তবে সে পরিকল্পনার সফল হয়নি। ওই টিকা রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত। কবে আসবে তাও জানা নেই কারোর। এখন তাই চীনা টিকাই ভরসা। এ টিকাও সংখ্যায় অনেক কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া কবে শেষ হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা।
জানা গেছে, চীনের দেওয়া সিনোফার্ম করোনার টিকা আগামী ২৫ মে থেকে দেওয়া শুরু করবে সরকার। পুরোদমে এ টিকা দেওয়া হবে আরও এক সপ্তাহ পর। এর আগে কয়েকজনকে টিকা দিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ সার্বিক পরিস্থিতি দেখা হবে। মোট পাঁচ লাখ সিনোফার্ম টিকা দেশে পৌঁছেছে। আগামী জুন-জুলাইয়ের দিকে আরও টিকা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে বলে চীন আশ্বস্ত করেছে।
ভার্সিটিনিউজ/জেআর