মো. আহসান হাবিব।।
অত্যন্ত দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে পৃথিবী আজ অতিবাহিত হচ্ছে। করোনা নামক মহামারিতে সমগ্র বিশ্ব বিভিন্ন দিক থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী নানা পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করছি। আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে, আমাদের শিক্ষায়, আমাদের মনস্তাত্ত্বিক অনেক ক্ষেত্রেই এর প্রভাব সুস্পষ্ট হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চলমান এই সংকটেও অক্লান্তবীরের মতো করোনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগের মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পৃথিবীর বুকে সগৌরবে স্থান করে নিয়েছে। আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষাখাতে দীর্ঘদিনের সংকট-সীমাবদ্ধতা আছে। দেশে যোগ্য, দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকের তীব্র সংকট রয়েছে । দেশের বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদ আছে। এমনকি কোন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় ২/১ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে। এটা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। এই সংকটগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের কোমলমতি শিশুদের মানসিক ও মেধা বিকাশের সুবর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছি।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন দেশ পরিচালনার মহান ব্রত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরি করতে রাষ্ট্রকে সহায়তা করবে। তাই এই শিশুদের ভবিষ্যৎ তথা জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ২০১৮ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পেরে ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী যারা চাকুরী থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা চূড়ান্ত নিয়োগের পরপরই প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছে।
ইতোমধ্যে গত ২৬ আগস্ট নিয়োগ পরীক্ষার এই দীর্ঘসূত্রিতার জন্য অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভায় প্যানেল পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ প্রদান করেন।বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান,সাবেক রেলমন্ত্রী, মো. মুজিবুল হক এম.পি ,সাবেক শিক্ষাসচিবসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সুপারিশ করেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়কে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার কাতারে আনতে এই মুহূর্তে প্যানেল পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের বিকল্প কিছু নেই বলে মনে করছি।
যে কারণে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।
১। দেশের পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক ছিল, ২০১০,২০১২,২০১৩,ও ২০১৪ তে তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলের মাধ্যমেই দেয়া হয়েছিল। তবে দেশের বর্তমান এই ক্রান্তিলগ্নে প্যানেলে নিয়োগ কেন নয়?
২।দেশে এখন প্রায় ৬৩ হাজার শূন্যপদ, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে এবং ৮৫% শিক্ষার্থীর ঝড়ে পড়ার প্রবণতা থেকে উত্তরণের মোক্ষম উপায় ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে নিয়োগ প্রদান করা।
৩।দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নতুন নিয়োগ আসলে তা সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়। করোনাকালীন এই পরিস্থিতিতে নতুন নিয়োগ দিলে দুই বছরেরও বেশি সময় লাগবে অর্থ্যাৎ নতুন নিয়োগের আশায় থাকলে দুই বছরেরও বেশি সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সংকটেই থাকবে।তাই এই সংকট নিরসনে ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে নিয়োগ দেয়াই বাঞ্ছনীয়।
৪। করোনার এই মহামারিতে দেশের অর্থনীতি,শিক্ষা, রাজনীতি সর্বোপরি অনেক কিছুই ব্যাহত হয়েছে। তাই করোনাকালীন ক্ষতি পোষাতে ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া উচিত।
৫।চলমান এই সংকটে নতুন করে সার্কুলার, সেখানে আবেদন করা, ৬৪ জেলায় পরীক্ষার আয়োজন করা এগুলোতে অনেক অর্থ ব্যয় হবে। অর্থ ব্যয় হ্রাস করতে ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেল নিয়োগই যথার্থ।
৬। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ একটি দীর্ঘ সময়ব্যাপী প্রক্রিয়া। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা নতুন ভাবে করা নেহাৎ মূল্যবান সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই সময় বাঁচাতে ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে নিয়োগ দেয়াই শ্রেয়।
৭। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক অবসরে যায়,কিন্তু সে তুলনায় অবসরে যাওয়া শিক্ষকের জায়গা পূরণ হচ্ছে না। তীব্র এই শিক্ষক সংকট দূরীকরণে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগের বিকল্প কোন পথ নেই।
৮। প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কোন সাধারণ স্কুল- কলেজের সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষা নয়। পরীক্ষাটির সঙ্গে অনেক কিছু এবং অনেক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, কর্মকর্তা সম্পৃক্ত থাকে তাদের অনেক পরিশ্রম হয়। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং শিক্ষক, কর্মকর্তাদের পরিশ্রম হ্রাস করার জন্য হলেও প্যানেল থেকে নিয়োগ দেয়া দরকার।
৯।প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা তো আর ঘরে বসে দেয়া যায় না। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জেলা শহরে পরীক্ষার জন্য ছুটতে হয়। চলমান বৈশ্বিক এই সংকটে আবেদনকারী প্রার্থীদের ভোগান্তি লাঘব করার জন্য হলেও প্যানেলে নিয়োগ অতীব জরুরি।
১০।২০১৮ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ২৪ লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করে যা এবারই প্রথম ছিল। এত পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়া খুব সহজ ব্যাপার না। নিঃসন্দেহে সবাই প্রচণ্ড মেধাবী।মৌখিক পরীক্ষায় যেখানে উপস্থিত হলেই হয়। সেখানে মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় চাকুরি হতে বঞ্চিতদের প্যানেলে নিয়োগ দিলে প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনে তেমন কোন ব্যত্যয় ঘটবে না বলে আশা করছি।
১১। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়া। তাঁর সুযোগ্য কন্যাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং সেই মর্মে কাজও করে যাচ্ছেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কিছু কিছু অঞ্চলে অসাধু লোকেরা চাকুরি দেয়া – নেয়ার কথা বলে অর্থ লেনদেন করে থাকে। প্যানেল থেকে নিয়োগ দিলে এই দুর্নীতিকে প্রতিহত করা যাবে।
১২। প্যানেল প্রত্যাশী যারা আছে তাদের মধ্যে যাদের বয়স আছে তারা পরবর্তী পর্যায়ে নতুন নিয়োগ দিলে আবেদন করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঠিকই হবে কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দেশ যে স্থবিরতায় নিমজ্জিত সেটা হতে মুক্ত হতে হবে।বর্তমানে শিক্ষাখাতে যে শূন্যতা, করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে সে সংকট, শূন্যতা পূরণের জন্য নতুন করে নিয়োগ,পরীক্ষা নেয়ার চেয়ে ২০১৮ সালের প্যানেল থেকে নিয়োগ দেয়া সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি।
১৩।সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতায় অনেক শিক্ষিত তরুণ চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা হারিয়ে ফেলেছে। হয়তো ২০১৮ সালের এই নিয়োগটিই তার শেষ সুযোগ ছিল। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে প্যানেল থেকে নিয়োগ দিয়ে তাদের কৃতার্থ করা উচিত।
১৪।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে সংকট নিরসনের জন্য ৪৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন। কোভিড-১৯ এ সৃষ্ট যে সংকট এটিও নিরসন প্রয়োজন। তাই ২০১৮ সালের নিয়োগ হতে প্যানেলে নিয়োগ দেয়া খুবই কার্যকর পদক্ষেপ হবে বলে আশা করছি।
১৫।আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুজিববর্ষের অন্যতম অঙ্গীকার।’মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না’ প্যানেল থেকে নিয়োগ দিলে এই অঙ্গীকার পুরোপুরি পূরণ না হলেও বেকারদের কিছু অংশকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারবে।
১৬। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনও আছে ২/১ জন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়। এতে করে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সত্যিকার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছি। প্যানেল থেকে নিয়োগ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশ যেমন ত্বরান্বিত হবে, একই ভাবে শিক্ষক সংকটও দূর হবে।
১৭।আমাদের নাজুক, ভঙ্গুর প্রাথমিক শিক্ষাকে সংকট- সীমাবদ্ধতা নামক অপছায়ার কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করে সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেগবান করতে ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে নিয়োগ এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার।
১৮।স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্যানেলের মাধ্যমে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়াতে যদি কোন সমস্যা না থাকে তবে প্রাইমারি শিক্ষাখাতকে গতিশীল করতে ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে নিয়োগ দিলেও কোন সমস্যা হবে না ।
১৯। ‘ ঘরে ঘরে চাকুরি দেয়া’ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার। প্যানেলে নিয়োগ দিলে সেই ইশতেহারও অনেকটা পূরণ হবে বলে আশা করছি।
২০।প্রয়োজন কখনো আইন মানে না। প্রয়োজনীয়তা নতুন আইন তৈরি করে। ৩৯তম বিশেষ বিসিএস-এ যেমন আরও ২০০০ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয় প্রয়োজনের ভিত্তিতে।তেমনি ২০১৮ সালের নিয়োগেও প্যানেল থেকে নিয়োগ দেয়া যাবে প্রয়োজন থেকেই। কারণ দেশে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষকের সংকট।
২১। গত ৬ বছরে প্রাইমারিতে মাত্র একটা নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে এবং যে পরীক্ষাতে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তখন করোনা নামক এই মহামারি ছিল না। তবুও, এই ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিতে হিমশিম খেতে হয়েছিল ।আমি মনে করি , আবার নতুন নিয়োগ আসলে নিয়োগ পরীক্ষার্থী ২০ লাখের কম হবে না। এই মহামারিতে এত বড় নিয়োগ সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব। এদিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় প্রাথমিকে ব্যাপক শিক্ষক সংকট দেখা দিচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের সঠিক উপায় হলো ‘প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮’ থেকে প্যানেলে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া।
মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যাঁর মানবিকতায় বিশ্ব ধন্য। ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে দুই হাজার কোটি টাকাসহ মোট ১৯ টি প্রণোদনা প্যাকেজে মোট ১ লাখ ১১৭ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, ৪৩ হাজার শিক্ষক পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন,করোনার এই ক্রান্তিকালে সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন থেকে শুরু করে কওমি মাদ্রাসা, গার্মেন্টসকর্মী, কৃষক- শ্রমিকসহ নন এমপিও শিক্ষক, কর্মচারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।আজ চাকুরি বঞ্চিত বেকারদের প্যানেলে নিয়োগ দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জন্য কোন ব্যাপারই নয়। ২০১৮ সালের নিয়োগ থেকে প্যানেলে নিয়োগ দিয়ে চাকুরি বঞ্চিত পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো তাঁর কাছে খুবই সামান্য ব্যাপার। যে হাসি উনি ফোটাবেন সেটা শুধু বেকারের হাসি না, এ হাসি গোটা বাংলাদেশের।
করোনা ভাইরাসে সার্বিক যে সংকট পৃথিবীময় বিরাজমান, সেই সংকটে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে না দিয়ে, জীবনের নিরাপত্তা নষ্ট না করে, নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে, সহকারী শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করে, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষকে আরও স্মরণীয়, সাফল্যমণ্ডিত ও সার্থক করে তুলতে হবে।প্যানেলের মাধ্যমেই নিয়োগ হবে,চাকুরি বঞ্চিত বেকাররা নবোদ্যমে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিয়োজিত হয়ে মানুষ গড়ার কারিগর হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বিশ্বমানের শিক্ষায় নিয়ে যাবে।মনে -প্রাণে এই প্রত্যাশাই করি।
(লেখক: মো. আহসান হাবিব, সদস্য বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, প্যানেল প্রত্যাশী, গাইবান্ধা জেলা,ও সাবেক শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।)