২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, সকাল ৮:১৩
নোটিশ :
Wellcome to our website...

পাবনার গর্ব চুপ্পু ভাই

মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

ক) বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। বিভিন্ন মাধ্যমে অবহিত হই যে, এ ব্যাপারে একটি চমক আসছে। কি চমক হতে পারে, সে ব্যাপারে সচেতন নাগরিক হিসেবে চিন্তা-ভাবনা করলেও তেমন কুলকিনারা মেলে না। হঠাৎ সে চিন্তার অবসান হয় ১২ ফেব্রæয়ারী’২০২৩ তারিখে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমাদের পাবনার জেলার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ভাই বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তখন সংগত কারণেই পাবনার সন্তান হিসেবে কাগজ-কলম হাতে তুলে নেই। এ সূত্র ধরে উল্লেখ্য যে, চুপ্পু ভাই ছোটবেলায় ভাবগম্ভীর ও চুপচাপ থাকতেন বলে, হয়তো এই ডাক নামটি তাঁর আসল নামের সঙ্গে সংযোজিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। আর তিনি চুপ্পু হিসেবে প্রায় সকল জনপদে অধিক পরিচিত। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, আমার বাড়ী পাবনা জেলার বেড়া উপজেলাস্থ মধুপুর গ্রামে। আগে তেমন না চিনলেই, মুক্তিযুদ্ধের অব্যাহতি পরে তাঁর মহতী কাজকর্মের সুবাদে বলতে গেলে সারা জেলাতেই তাঁর নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ে বিধায় আমিও তাঁর অনুরাগী হয়ে দাঁড়াই। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, স্মরণকাল থেকে বৃহত্তর পাবনা এলাকায় যত কৃতি সন্তানের আগমন ঘটেছে। জাতীয় দিক দিয়ে চুপ্পু ভাইয়ের মতো এত বড় পর্যায়ে কোন মহত ব্যক্তি এসেছেন কিনা, তা আমার জানা নেই।
খ) এবার তাঁর অসাধারণ কর্মকান্ডসহ কিছু তথ্যাদির প্রতি সম্মানিত পাঠকবর্গের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শীতকালের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা জেলা শহরের জুবিলি ট্যাংক পাড়ার মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারের তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম শরফুদ্দিন আনছারী ও মা মোসাম্মৎ খায়রুন্নেসা। মূলত তাঁর পিতৃভূমি হলো পাবনা জেলা সদরের ৮৮/১ নং শিবরামপুরে। অবশ্য বর্তমানে সপরিবারে ঢাকা রাজধানীর গুলশানে থাকেন। চুপ্পু ভাইয়ের জীবনে প্রথম লগনে শিক্ষা জীবনের শুরু প্রাক্তন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে, সেখানে তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। এদিকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাস করার পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি (বিজ্ঞান) ও ১৯৭২ সালে বিএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তৎপর তিনি ভাবেন যে সমাজ ও দেশকে নিয়ে চলতে গেলে জুরিসপ্রুডেন্সহ বস্তুনিষ্ঠ আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়। আর সেই মানসে জ্ঞান পিপাসু চুপ্পু ভাই পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। বৈবাহিক জীবনের দিক দিয়ে উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালের ১৬ নভেম্বর পাবনা শহরের দিলালপুর নিবাসী আলী আকতারের জ্যেষ্ঠা কন্যা ড. রেবেকা সুলতানার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর ড. রেবেকা সুলতানা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি চাকুরীজীবী। তিনি যুগ্ম-সচিব (বিসিএস ক্যাডারভুক্ত) হিসেবে ২০০৯ সালে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিউম্যান রিসোর্স প্রোগ্রাম বিভাগের অধ্যাপক এবং ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাঁদের দেশি-বিদেশি শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত একমাত্র তনয় মো. আরশাদ আদনান রনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা।
গ) চুপ্পু ভাই শহরের প্রতিপালিত হলেও এই ধান-শালিকের গ্রাম বাংলার প্রতি ছিল আলাদা টান। ছোটবেলা থেকেই কিষান-কিষানি, তরুরাজি, নদীনালা, ধানক্ষেত, বিহঙ্গের কলকাকলী, ইত্যাদি তাঁকে আবেগী করে তুলতো। মোটের উপর, এই ষড়ঋতুর বৈচিত্রময় বাংলার প্রকৃতিসহ তৃণমূল মানুষের সঙ্গে তিনি মিশে গিয়েছেন। বস্তুতঃ সাধারণ মানুষের ভাল মন্দ নিয়ে তিনি ভাবতেন এবং যতদূর করা সম্ভব, সে ব্যাপারে তিনি এগিয়ে যেতেন। অবস্থাভেদে তিনি তাঁর বেতনের উল্লেখযোগ্য অংশ বিলিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করতেন না। আর এই ভাবনা তাঁর দর্শন হয়ে দাঁড়ায় বিধায় সেই সুবাদে ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের কল্যাণার্থে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন পাবনা জেলার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগ নেতা হিসেবেই তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি পাবনা জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে পাবনা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। তিনি পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি হন। আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, এই সেই চুপ্পু ভাই, যিনি পাকসেনাদের ভয় উপেক্ষা করে সর্ব প্রথম পাবনায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিলেন। এদিকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন ও তাঁকে মনে প্রাণে ভালোবাসতেন। আর সত্য প্রতিষ্ঠানকল্পে কখনও জোর-জুলুম ও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতেন না। এ সূত্র ধরে উল্লেখ্য যে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের যখন হত্যা করা হয়। তখন বলতে গেলে সারা বাংলা চুপচাপ ছিল। অথচ সেই মুহূর্তে প্রতিবাদ করায় সামরিক আইনের ৭ ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং যুগপৎ তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চলে। শুধু তাই নয়, তাঁকে তিন বছরের জেল পর্যন্ত খাটতে হয়।
ঘ) পেশাগত জীবনে বলতে গেলে, তাঁর আইন পেশা দিয়ে শুরু হয়। দুই বছর আইনজীবী হিসেবে যুক্ত থাকার পর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারে তিনি মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগ দেন। কর্মের ধারাবাহিকতায় যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ পদে দায়িত্ব পালন করে ২০০৬ সালে অবসরে যান। এক্ষেত্রে একটি কথা না বললেই নয়, তাহলো একজন আদর্শ বিচারক হিসেবে তার খ্যাতি খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিচারিক কাজের পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। আর সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনে বৈচিত্রময় কাজের সারথী ধরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা- কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন, যা পরে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। মজার ব্যাপার হলো যে, দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক উত্থাপিত কথিত পদ্মা সেতুসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্যতম প্রধান হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন এবং বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণে সমর্থ হন। আর তাঁর প্রনয়নকৃত এই তদন্ত প্রতিবেদন কানাডার আদালতেও পুরোপুরি সমর্থিত হয়। এদিকে চুপ্পু ভাই ১৯৯৫ সালে পর পর দুবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। তাছাড়া পেশাগত জীবনের প্রথম দিকে সাংবাদিকতার কাজও করেন এবং এই সুবাদে পাবনা প্রেসক্লাব ও অন্নদা গোরিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির জীবনসদস্য ছিলেন।
ঙ) চুপ্পু ভাই ধর্মভীরু এবং আল্লাহ তা’লার উপর অগাধ বিশ্বাস। যে কোন কাজ জটিল বা চ্যালেঞ্জিং হলেও তিনি পিছপা হন না। মহান করুণাময়ের উপর ভরসা করে এগিয়ে যান। এর সপক্ষে একটি কথা উঠে আসে, যা হলো বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, “সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে”। এদিকে সূদৃষ্টির আড়ালে একটি কথা সহজেই এসে যায়, যা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম যে প্রথিতযশা মানুষটি উঠে আসেন, তিনি হলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং তৎপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারের নির্বাহী প্রধান হলেও, দেশের প্রধান হলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির তেমন নির্বাহী ক্ষমতা না থাকলেও, প্রধান বিচারপতি নিয়োগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডে তাঁর ভূমিকা খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। এ প্রেক্ষাপটে যদি একটি উদহারণ টানি, তাহলে প্রতিভাত হয় যে, অবস্থাভেদে দেশের স্বার্থে যে কোন সময় সরকারি বিজ্ঞপ্তি দ্বারা চলমান পার্লামেন্টে ভেঙ্গে দিতে পারেন। যাহোক, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে এবং সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নাজুক পরিস্থিতির সন্দিক্ষণে রাষ্ট্রপতি হিসেবে চুপ্পু ভাইয়ের সামনে গুরু দায়িত্ব। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, ইংরেজিতে একটি প্রবচন আছে, যা হলো- ‘‘মরনিং শো দ্যা ডে ’’ অর্থাৎ দিন ভরে কি হবে, তা সকাল বেলায় বুঝা যায়”। আর এ বচনটি সেই আলোকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিরহংকার চ্প্পুু ভাই সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা প্রেক্ষিতে যে অল্প কিছু কথা বলেছেন। তা তুলে ধরা হলো যেমন- সবকিছুই আল্লাহ ইচ্ছায় হয়েছে, যা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে কথা বলেছেন, তা দেশের স্বার্থে প্রণিধানযোগ্য, যেমন- সংবিধানমতে জনগন এদেশের মালিক; ভোট দিয়ে নিজেদের মতো করে সরকার গঠন; নির্বাচনে বিরোধী দল এগিয়ে আসার পরামর্শ; জীবনবাজি রেখে দেশ স্বাধীনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার; জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনসহ সব দলের অংশ গ্রহণ অপরিহার্য; ইত্যাদি। তাঁর উক্ত কথাতে কি প্রতীয়মান হয় না যে তিনি নিরপেক্ষ এবং দেশের আঠার কোটি মানুষের হিতাকাঙ্খি ও সুহৃদ? দুঃখের বিষয় হলো যে, দুদুক আইনের ৯ ধারা সামনে এনে চুপ্পু ভাইয়ের আইনি যোগ্যতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে গভীরে না যেয়ে অযথা এসব প্রশ্নে অবতারণা করা হচ্ছে? বস্তুত দুদুক আইনের এই ধারায় উল্লেখ আছে যে, দুদুক থেকে কমিশনার হিসেবে অবসরগ্রহণ করার পর কোন লাভজনক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। কথাটি ঠিকই আছে। তিনি (চুপ্পু ভাই) দুদুকের কমিশনার ছিলেন এবং মেয়াদশেষে অবসরও গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি তো রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত, নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। তাই এ প্রশ্ন করে অযথা টাইম ও এনার্জি নষ্ট না করাই শ্রেয় বলে মনে করি।
চ) চুপ্পু ভাই এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। কিন্তু ইতোমধ্যে সূচনা লগ্নে দেশ মাতৃকার একান্ত টানে তাঁর অভিব্যক্তি ও কথা বার্তায় প্রকরান্তরে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি গ্রণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে মাইল ফলক হয়ে উঠবেন। আর এটি উড়িয়ে দেয়ার কোন অবকাশ নেই বলে মনে করি। অবশ্য পাবনার সন্তান হিসেবে আমরা পাবনাবাসী সেটাই কামনা করি। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, যখন তাঁর অপ্রত্যাশিত সুখবরটি সামাজিক মাধ্যমে সারা বাংলার আকাশ-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে; তখন সদরসহ সারা পাবনা জেলায় খুশির বন্যা বয়ে যায়। এখানে একটি সত্য কথা না বললেই নয়, তা হলো চুপ্পু ভাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিবেচনাপূর্বক কেবল গর্ব করি না। একই সঙ্গে তাঁর যে অসামান্য গুণাবলী আছে, তাতে গর্ব করার অনেক কিছু আছে; যার সপক্ষে কতিপয় উদহারণ তুলে ধরছি যেমন- তিনি সাহসী, দেশপ্রেমিক, জ্ঞান-পিপাসু, সেবাধর্মী, ন্যায় নিষ্ঠাবান, সুপুরুষ, ধর্মভীরু, বিচারক হিসেবে তাঁর রায় অনেক ক্ষেত্রে নজির হিসেবে বিবেচিত, সদলাপী, নিরংকারী, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
চুপ্পু ভাইকে ঘিরে উপর্যুক্ত সামান্য আলোচনায় যতটুকু উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে, তাতে বলতে দ্বিধা নেই যে, তিনি আমাদের পাবনাবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের মানুষ। আর মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে দেশ ও জাতির জন্যে অনেক অবদান রাখবেন বলে কায়মনবাক্যে বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে চুপ্পু ভাইকে একজন যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার জন্যে বর্তমান গতিশীল সরকার দেশবাসীর কাছে সংগত কারণেই ধন্যবাদ পাওয়ার দাবীদার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর