নিউজ : সুইটি রাণী বণিক
নবম দিনের মতো বুধবার ( ১৫ জুলাই) অনশন করছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। বোরাক টাওয়ারের সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছন অনশনকারীরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং দীর্ঘ ৩ বছরেও এনরোলমেন্ট প্রসেস সম্পন্ন হয়নি। এজন্য ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা না নিয়ে সরাসরি গেজেট প্রদানের মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তিকরণের দাবিতে গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে আমরণ অনশন করছেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বলেন, আমরা নয় দিন যাবৎ অনশন করলেও আমাদের অভিভাবক বার কাউন্সিল আমাদের সাথে কোনো রকম যোগাযোগ করেন নি। করোনার এই পেনডেমিক সময়ে ঘর থেকে বের হতে সারা বিশ্বের মানুষ আজ ভয় পাচ্ছে, সেখানে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা কোর্ট প্রাঙ্গণে অনশনরত অবস্থায় পড়ে আছে। বার কাউন্সিল জেনেও না জানার ভান করে আছেন। এরি মধ্যে আমাদের অনেক সহযোদ্ধা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। আমরা আজ ৯ দিন ধরে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অনশন করছি। আমাদের জীবন নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলবেন না, আর পারছি না, মৃত্যুকে হাতে নিয়ে পড়ে আছি আন্দোলনে। বার কাউন্সিলের নেতারা একবারও দেখতে এলেন না। মানুষগুলো এতো অমানুষ কেমনে হয়?
যাদের জীবন থেকে ৩ বছর ৫ বছর চলে যায় সে বুঝে জীবনের সময়ের মূল্য কি। সবাই বড় বড় লেকচার দিতে পারেন। কেউ আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন না। শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের গেজেট দিয়ে সনদের দাবিকে অনেকে নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মধ্য এম.এ.মান্নান, মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মাননীয় সংসদ সদস্য, সুনামগঞ্জ -৩। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন মিডিয়াগুলো কেন আপনাদের এত গুরুত্বপূর্ণ দাবি ঠিক মতো প্রচার করছে না? তিনি অতিসত্তর মাননীয় আইনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ -১ আসনের ৩ বারের নির্বাচিত সাংসদ হাওড়পারের কৃতি সন্তান, ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তিনি বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণে এম.সি.কিউ উত্তীর্ণ (২০১৭/২০২০) শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের লাইসেন্স প্রদান সহ সামগ্রিক বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বার কাউন্সিল নেতৃবৃন্দকে উদাত্ত আহবান জানান।
এডভোকেট সাইফুজ্জামান শেখর মাননীয় সংসদ সদস্য মাগুরা -১, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ মাননীয় সংসদ সদস্য,সুনামগঞ্জ-৪ এবং বিশিষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান প্রয়াত জাতীয় নেতা, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের সহধর্মিনী ড. জয়া সেন গুপ্ত, মাননীয় সংসদ সদস্য,সুনামগঞ্জ-২, ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপসের বড় ভাই যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশের সহধর্মিনী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রমুখ বলেছেন পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, এই অতিমারি সময়ে জীবন মরণ বাজি রেখে যে আন্দোলন করছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়! এহেন পরিস্থিতিতে তাদের প্রতি বার কাউন্সিলের মানবিক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বোধ করছে আইনের অন্যান্য ছাত্র- ছাত্রীরাও।