প্রতিবেদক : যুবরাজ অনার্য
ইদানিং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সন্ধ্যার পরপরই পাহাড়ে আগুন জ্বলতে দেখা যায়৷ এতে পাহাড়ের গাছপালা পুড়ে যাচ্ছে এবং হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য।
গত ১৩ই মার্চ সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের পেছনের পাহাড়ে আগুন দেখা যায়। এর আগে ১১ই মার্চ নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হলের পেছনের পাহাড়ে আগুন লেগে অনেক গাছপালা পুড়ে যায়।
সন্ধ্যার পর এভাবে পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনাকে পরিকল্পিত মনে করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্টরা। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদাসীনতার জন্য এরকম ঘটনা ঘটছে বলেন কেউ কেউ।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা কি প্রাকৃতিক নাকি পরিকল্পিত তা ভেবে দেখা দরকার। পাহাড়ে আগুন লাগার কারণে পুড়ছে গাছপালা ও মূল্যবান বনজ সম্পদ। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি। এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে পাহাড় কাটা ও পাহাড়ে আগুন দেওয়া বন্ধ করতে হবে। আর এসব গর্হিত কাজ যারা করছে, তদন্ত কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২১৫ প্রজাতির পাখি, শূকর, সাপ, বন মোরগ,মায়া হরিণ, বানর, ব্যাঙ সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। গত ৮ মার্চ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীকে ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।