জবি করেসপন্ডেন্ট :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে অনলাইনে পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে । অনলাইনে পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল ধরনের নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। আগমী ৬ তারিখ সিন্ডিকেট সভায় নীতিমালা অনুমোদন করা হবে । তবে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে অনলাইনের পরীক্ষা । এজন্য শিক্ষার্থীদের আরো একমাস অপেক্ষা করতে হবে ।
মঙ্গলবার(৩১ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় বলে জানিয়েছেন একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য।
একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যরা জানান, অনলাইন ও সশরীরে উভয় পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে । অনলাইনে পরীক্ষার নেওয়ার বিষয়টি নিয়ম অনুযাযী আগামি ৬ তারিখ সিন্ডিকেটে পাশ হবে । এর পরে বিভাগে বিভাগে চিঠি পাঠানো হবে । তারা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করবে । পর্যায়ক্রমে এভাবে কাজ চলবে । পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ করতে মিনিমাম এক মাস লাগবে । এসময় সরকারের সিদ্ধান্তের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে । সরকারীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত আসলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহন করা হবে । যেভাবেই পরীক্ষা হোক তার চার সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাব্য তারিখ বা পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি ।
অনলাইনে পরীক্ষা হবে কোর্সের ৫০ শর্তাশ নম্বরের এবং সময়ও কমে করা হয়েছে অর্ধেক। তবে খাতা মূল্যায়নের সময় সেগুলোকে পূর্ণাঙ্গ করে ফলাফর প্রকাশ করা হবে।
একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা সুপারিশ করা হয়েছে। সিন্ডিকেটে তা পাশ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে আমরা অফলাইনেই পরীক্ষা নেবো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত দেখে পরীক্ষা পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নিবো। সরকারি সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা খুলতে পারবো না। নীতিমালা সিন্ডিকেটে পাশ হলে আমরা দেখবো সরাসরি নেয়া যায় কি না। সরাসরি নেয়া গেলে আমরা সরাসরিই পরীক্ষা নিবো। আর বিশ্ববিদ্যালয় না খোলা গেলে অনলাইনে পরীক্ষা নিবো। তা অবশ্যই চার সপ্তাহ আগে নোটিশ দিয়ে।
এর আগে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, সেজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনিরুজ্জামানকে আহবায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড আইটি দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জল কুমার আচার্য্যকে সদস্য সচিব করে একটি টেকনিক্যাল কমিটিতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস, ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল বাকী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছিল ।