২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, রাত ১০:৩৬
নোটিশ :
Wellcome to our website...

অধ্যাপক ড. শামসুল আলম পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

রিপোর্টার
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

জবি প্রতিনিধি।।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে সফল আমলা এবং অতঃপর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব- মেধা ও পরিশ্রমের ফল লাভ করার মহিমায় ভাস্বর একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

জানা গেছে, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক হওয়া সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ পাচ্ছেন।  রোববার (১৮ জুলাই) তিনি শপথ নিতে পারেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, শামসুল আলমকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রোববার বঙ্গভবনে তার শপথ এবং ওইদিনই দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। শামসুল আলম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে আপাতত অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে রদবদল আনার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে শামসুল আলম বলেন, ‘খবর সত্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত ফাইল সই করেছেন বলে জেনেছি।’রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সময় দিলে রোববার কোনো এক সময় শপথ অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা আমার গত ১২ বছরের কাজের স্বীকৃতি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি যেভাবে ১২ বছর ধরে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, নিয়োগ পেলে সেভাবেই করে যাব।’

শামসুল আলম আরও বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জেনেছি। সেটা আরও ভালো খবর। এখানেই আমার জন্ম, এখানেই আমার পরিচিত।’বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন এম. এ. মান্নান। মন্ত্রিসভায় এখন ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন একজন যুক্ত হলে প্রতিমন্ত্রী হবেন ২০ জন।

ড. শামসুল আলম এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনীতি স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে এমএসসি, ১৯৮৩ সালে ব্যাংককের থাম্মাসাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ অর্থনীতি এবং ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসেল আপন টাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।

কর্ম জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেদারল্যান্ডের ভাগিনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট ইকনোমিকস স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন।

ড. আলম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় ২০০২ সালের মার্চ থেকে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণকালীন চাকরিরত ছিলেন। ইউএনডিপি বাংলাদেশে ১৪ মাস সিনিয়র স্কেলে পূর্ণকালীন জাতীয় কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ৩৫ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা শেষে শামসুল আলম ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। সবশেষ গত ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়।

এদিকে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার শামসুল আলমকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে। এর আগে ২০১৮ সালে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডিউলিং তাকে ‘ইকোনমিক অব ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড’ দেয়। এছাড়া কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষতা ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি ২০১৮ সালে শামসুল আলমকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। তাঁর গবেষণা, পাঠ্যপুস্তকসহ অর্থনীতি বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১২টি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর