অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ||
করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট মন্দার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বাড়ছে। বেকারত্ব কর্মশক্তির মনোবল ও স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে। দীর্ঘ মন্দা সামাজিক সমস্যা তৈরি করবে। সামাজিক অস্থিরতা যেমন- সন্ত্রাস, ধর্ষণ, দুর্বলের উপর আক্রমণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাড়বে। বাড়বে স্থানান্তরিত ক্রোধ।
আলজেরীয় বিপ্লবী ও তাত্ত্বিক Frantz Fanon ১৯৫২ সালে প্রকাশিত “Black Skin White Mask” বইয়ে যেমনটি বলেছিলেন, “দীর্ঘদিন দুর্দশার মধ্যে থাকলে সমাজে হিংসা বেড়ে যায়। মানুষ যখন মূল কারণে হাত দিতে পারে না বা খুঁজে পায় না তখন সে চারপাশের উপর আক্রোশ বোধ করে। বেকারত্বের কারণে সৃষ্ট দারিদ্র্য সামাজিক বুননকে (social fabrics) হুমকির মুখে ফেলবে। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত অমর্ত্য সেনের “Poverty and Famine” বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, “দুর্ভিক্ষের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কিছু লোকের না খেতে পাওয়া। এর বৈশিষ্ট্য কিন্তু খাবারের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকা নয়”।
শত প্রণোদনা দেয়ার পরও অনেক কিছুই রাষ্ট্রগুলোর হাতে থাকবে না, অথচ সবকিছুর জন্য রাষ্ট্রকেই দায়ী করা হবে।
আমেরিকান প্রাবন্ধিক, কবি, দার্শনিক ও অনুবাদক Henry David Thoreau ১৮৪৯ সালে প্রকাশিত “Civil Disobedience” বইয়ে নাগরিক অবাধ্যতার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রের অন্যায্য আচরণকেই দেখিয়েছেন। অতএব রাষ্ট্রগুলোকে হতে হবে “ন্যায্য” এবং “মানবিক”।