জবি প্রতিনিধি:
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মাস্টার্সের ছাত্রী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন । অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানায় মামলা করলেও গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ । মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন বলেও জানা গেছে । অভিযুক্ত শাহাদত এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে আটক করে নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী । এই শিক্ষার্থী হলেন সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাপল্লী পূর্বপাড়া গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে আফরোজা আক্তার। জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা চলাকালে ২০১৭ সালে ঢাকা উদ্ভাস কোচিংয়ে চাকরিরত শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে আফরোজার পরিচয় ঘটে। এ পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেম হয়। ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই তারা বিয়ে করেন। প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে বিয়ে করলেও বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবি করত শাহাদত। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দেয়ায় মাঝে মধ্যে স্ত্রী আফরোজাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল শাহাদত। চলতি মাসের ১৫ তারিখ আফরোজাকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের সাইঞ্চারপাড় গ্রামে বাড়িতে নিয়ে আসে শাহাদাত। এরপর ফের যৌতুক দাবি করে গত ২৪মার্চ বসত ঘরে আটকে রেখে স্ত্রীকে নির্যাতন চালান। খবর পেয়ে আফরোজার বাবা আবু তালেব এসেও মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন। পরে তিনি পুলিশের সহায়তা নেন। এ ঘটনায় আফরোজা বাদী হয়ে ২৬মার্চ স্বামী শাহাদাত হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে বাকী ৫ জন জামিন নিলেও শাহাদতের জামিন হয় নি । বর্তমানে আফরোজা আক্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, আমি থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বললেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। গতকালও থানায় গিয়ে আমার নিরাপত্তার বিষয় জানিয়েছি কিন্তু তারা নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু বলে নি। তিনি আরো বলেন, এদিকে শাতাদত এবং তার বড় ভাই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে । এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
এ বিষয়ে সড়িষাবাড়ি থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে তদন্ত চলছে । অভিযুক্ত শাহাদত পলাতক । তবে তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলেন নি । তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই ব্যস্ত । মামলার তদন্ত চলছে এবং তদন্ত শেষ হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।