সুইটি বণিক
সময়ের কাছে সীমারেখা হার মেনে যায়।
আজ সকালে মহোদয়ের ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙলো! সে বললো কেমন আছো পলাশ? আমি ভীষণ খুশি, আপনার ফোন পেয়ে অনেক ভালো আছি আমার মহোদয়! অনেক দিন তোমায় দেখিনা, তোমার একটা ছবি পাঠাও? আপনি কোথায়? আমি অনেক দুরে! আচ্ছা পাঠাই!
হঠাৎ মনটা দারুন ভাল হয়ে গেল, আমার মাকে দেখলাম মহোদয়কে অনেক পছন্দ করেন!
ওনি তার বন্ধু কে বলছিলেন আচ্ছা আমি যদি ওকে বিয়ের প্রস্তব দেই ও কি রাজি হবে? বন্ধু বলছিল নাও হতে পারে! কথাটা আমি শুনে ফেললাম! সবুজ বনের ভিতর সুন্দর ৩ তলা একটি সাদা বিল্ডিং। আমাকে অফিসিয়াল কাজের জন্য এখানে থাকতে দেয়া হলো! মহোদয় ও এখানে কাজে এসছেন!
অনেক দিন তার দেখা নাই, ফোন পাইনি! প্রতিদিন তার ফোনের অপেক্ষায় থাকি! আমার নিষেধ যেন তাকে খুব বেশি দরকার না হলে ফোন না দেই!
জগতে অনেক প্রেম হয়, যা নিজের মর্জির বাহিরে। সে একজন অনেক বড় মাপের গুনীজন! সে আমার মত ক্ষুদ্র মানুষকে কেন, নক করেছে তার কোন কারন খুঁজে পাইনি!
যাই হোক মনের কোন এক কোনে আমিও তাকে রেখেছিলাম, তবে তা ভাল বেসে নয় ; মন্দ বেসে! হ্যা এক প্রকার বিরক্তি ই ছিল তার উপর! তার ব্যাখ্যা বিধাতা ছাড়া আর কাউকে বলা যায় না। তখন আমি তাকে মন থেকে গ্রহন করতে পারিনি! বুঝিনি, ভাল বাসিনি,শুধু তার দুয়ারে দারস্থ হয়েছিলাম অসহায়ের মত! তার পায়ের কাছে হাত জোর করে চোখের জলে কেঁদেছিলাম,অবুঝের মত! কোন এক দম্ভের জোরে সে আমার দুঃখ গুলো বুঝতে পারেনি!
যাই হোক স্মৃতি কথা, যত সব থাক মন অন্তরালে! আজ তার জন্য মন পোড়ে, হৃদয় গহীনে! কেন, এমন মন পরিবর্তন জানি না আমি! তবে এটুকু জানি ঈশ্বর হয়তো এটাই চায়!ভালবাসি, ভালবাসি আমার মহোদয়। অবশেষে আমি একটা পাহাড় কিনে ফেলেছি! আমার ভালবাসা পাহাড় সমান মহোদয় আপনিতো জানেন না! হঠাৎ তার ফোন আসে, আমার হৃদয় কাঁপে বসন্তের বাতাসের মত! কথা বলতে গেলে কান্না আসে, এত ভয় পাই। অথচ কাছে গেলে কোন ভয় আর থাকে না! সে আমাকে দোখা করতে বললে! অদ্ভুত একটা আনন্দ আমাকে মাতাল করে দিচ্ছে। অবশেষে আমারো প্রেম এলো, আমিতো আর এ জগতে নাই! এত দিন শুধু ভাবতেছিলাম আসলেই কি আমি প্রেমে পরেছি? আমার মন কয় তারে, সত্যি পলাশ তুইতো অভিসরিকা!