আসাদ মান্নান।।
হঠাৎ ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখি কিছুক্ষণ আগেঃ
আমাদের পিতা যিনি এ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি
যিনি আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে আমাদের
অনেক রক্তের বিনিময়ে একটা স্বাধীন দেশ
আর আত্মপরিচয় এনে দিয়েছেন, এমন কী
এ দেশের প্রত্যেক নারী ও শিশু যেন নিরাপদ
স্বপ্ন বুকে স্বাধীন ভূখণ্ডে হাসতে পারে, খেলতে পারে
কেউ কারো চলার বলার পথে কোনোরূপ বাধা
কিংবা কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে না-পারে, প্রত্যেকেই বাঁচবে
একান্ত নিজের মতো করে; কখনো বা কেউ কারো ক্ষতির কারণ হয়ে দানবের হিংস্র আচরণে
মানব সমাজটাকে করবে না লণ্ডভণ্ড; আর
প্রতিটি মানুষ যাতে অমানুষ না- হয়ে সবাই
প্রকৃত মানুষ হয়ে বাঁচে- বাঁচে যেন অপরের
মঙ্গলার্থে। মূলত সে স্বপ্ন থেকে দেশটাকে গড়তে না গড়তে প্রিয়তমা সঙ্গিনী ও প্রিয় তিন পুত্র সহোদর
দুই নব পরিণীতা পুত্রবধূসহ নিজের রক্তের মধ্যে
দেশটাকে রেখে যান দস্যুদের বুটের তলায়?
কেন পিতা এরকম দেশ তো চাননি আপনি?
যেখানে আমার জায়া কন্যা বিধবা জননী
নিয়ত শিকার হচ্ছে লম্পটের লোলুপ নেশার
কবে শেষ হবে এই পৈশাচিক সহিংসতা!
আমরা তা চাই পিতা! ফিরে পেতে সে সোনার দেশ
যে দেশের মানুষের ভালোবাসা ছাড়া আপনার
কোষাগারে আর কোনো ধন রত্ন নেই। আপনার
এই ভালোবাসা দিয়ে স্নাত হোক মুজিব বর্ষের
প্রতিটি মুহূর্ত। আর কোনো অনৈতিক কর্মকান্ডে
বাংলার মাটিকে কেউ অপবিত্র করতে না-পারে বাঙালির শুদ্ধতার শুচিতার বিজয় পতাকা
কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে ঘরে ঘরে আমরা উড়াবইঃ
ধর্ষণ নিরোধী যে- আইন আজ অধ্যাদেশ মূলে
জারী হবে সে- আইনে আমি চাই দু’হাজার এক
থেকে কিংবা তারও আগে একাত্তর সালে গৌরবের ছাব্বিশে মার্চের মধ্যরাত থেকে এই বাংলাদেশে
যত ধরনের ধর্ষণ নামক হিংস্র অপরাধ
সংঘটিত হয় কিংবা হয়েছিল তার সমুচিত
বিচার করবেন মহামান্য আদালত
অর্থাৎ আমার দাবি খুব পরিষ্কার বাংলার মাটিতে
ধর্ষণের চিহ্ন বলে কিছু থাকবে না, কোনো ধর্ষকের ফেয়ারি নিঃশ্বাসে যেন বাংলার পবিত্র হাওয়া আর
বিষাক্ত না- হতে পারে!