সাধ
বড় সাধ জেগেছিলো
কত-শত গল্প বাসা বেঁধেছিলো ছোট্ট হৃদয়ে
গোধূলি লগনে শরতের শিউলির ওপর
রক্তিম সূর্যের আভা যেমন দ্যুতি ছড়ায়
যেমন অপরূপ দেখায়
তেমনি সম্ভাবনা দীপ্তি ছড়াচ্ছিলো আড়ালে
নতুন কিছু হবার, নতুন কিছু পাবার
সন্ধে বেলায় শিউলির মাদকতা ছুটোছুটি করছিলো
দিক বিদিক
হয়তো ভাগ্যের নির্মমতা
সূর্যকে ছোবার আগেই শিউলি লুটিয়ে যায়
মৃত্তিকার বুকে
আমি যত্নে কুড়িয়ে নিলাম
মন্দিরের আরাধনায় রেখে দিলাম
আর হৃদয়ের কপাট রুদ্ধ করে দিলাম
শ্রদ্ধায় আর শুভ কামনায়।।
২.
ছন্দ প্রেম
প্রেম ভিন্ন এই ক্ষৌণীতে শান্তি অপ্রতুল ।
প্রেম যেনো মহা মায়া, রহস্যাবৃত অনুভূতির গোলকধাঁধা।
সৃষ্টি কর্তা কাম বাসনাকে সর্বোচ্চ শৃঙ্গে স্থান দিয়েছেন বলেই পৃথিবীর সকল নিকেশ সমাপ্তি শেষে পরলোকে নর নারীর যৌনতাকে সর্ব ব্যাপ্তি প্রগাঢ় স্বচ্ছতায় অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মানব সম্প্রদায় কল্পনার এক প্রতিচ্ছবি। প্রেম কাম মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে নিবিড় পরিচর্যায় চিত্রিত হয়, স্বর্গে কল্পিত চিত্র ততক্ষণেই প্রস্ফুটিত হবে এমনটাই ধর্মগ্রন্থে ইঙ্গিত পাই। কিন্তু এই মহা বিশ্বে তা হয় না। না হলেও কিন্তু কল্পনা থেমে থাকেনা। কল্পনা মানবকে এক প্রকার তৃপ্তির আবেশে, ঘোরে টলমলে করে রাখে।
সৃষ্টি লগ্ন থেকে আজ অবদি শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্যে কবি লেখক ও সাহিত্যিকদের কল্পনায় রচিত হয়েছে গদ্য, পদ্য, ভাস্কর্য, উপন্যাস সমগ্র।
তবুও প্রেম প্রকাশে আমাদের মাঝে এক অদৃশ্য সংকোচ রয়েই গেছে।
যদি কলমের খোঁচায়
ছন্দে ছন্দে প্রেম প্রকাশ করা যায় তবে তা মন্দ কি?
৩.
শ্রেষ্ঠ কবিতা
তোমাকে ভাবছি
ভাবছি তুমি এখনো কেনো আমাকে নিয়ে কোনো কবিতা লেখো নি
আমাকে নিয়ে কবিতা না লিখলে
তোমার সারা জীবনের সাহিত্য চর্চাই যে বৃথা যাবে
তা কি তুমি এখনো উপলব্ধি করতে পারছো না?
কেনো উপলব্ধি করতে পারছো না?
আমি যে পৃথিবীর সর্বযুগের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা
তা কি তুমি বোঝো না?
আমার সর্বাঙ্গে, দেহাবয়বের পড়তে পড়তে যে সাহিত্য রস উপচে পড়ছে
আমার রহস্যাবৃত মন আবিষ্কারের নেশায় আসক্ত শত শত দার্শনিক
অথচ তুমি ডুবে আছো যৌনতায়।।