১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, সকাল ৮:৩৯
নোটিশ :
Wellcome to our website...

গ্রীষ্মের তীব্র গরম কথন

রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন


* মোঃ আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব।।
(অ) বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এর মধ্যে গ্রীষ্মকাল হিসেবে বাংলা বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস। আর সাধারণত ইংরেজি মাস এপ্রিলের ১৪ তারিখ থেকে মে মাস পাড় হয়ে জুন মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত ব্যাপ্তি। অবশ্য চৈত্র মাসে গরম থাকলেও জলিওপদার্থ (ঐঁসরফরঃু) কম থাকে বলে অতটা জনজীবন প্রভাবিত করতে পারে না। অবশ্য এই সময় ঠান্ডা ও গরমের লুকোচুরি রোমান্টিক মন আবেগী করে তুলে। আর এই চৈত্র মাস ঋতুবাজ বসন্তকালের আওতাভুক্ত। বস্তুত গ্রীষ্মকালে গরম থাকলেও মৌসুম বায়ু প্রবাহিত হয় বলে ঝড় বৃষ্টি সহ স্বাভাবিক বৃষ্টি কম হয় না ? কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। গ্রীষ্মের প্রথম দিকে কিছুটা থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও এখন আর বৃষ্টির দেখা নেই। তাপমাত্রা এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে দেশের চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত অতিক্রম করছে। তাছাড়া বাংলাদেশের ১৭টি অঞ্চলে ৪০ সেলসিয়াস তাপ মাত্রার বেশি এবং ঢাকা রাজধানীর তাপ মাত্রাও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। সত্যি কথা বলতে কি, গোটা এপ্রিল ধরে টানা তাপ প্রবাহ হয়েছে, যা দেশে গত ৭৬ বছরে দেখা যায়নি। শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় প্রায় দেশগুলো এই গরম আবহাওয়ার কবলে। মূলত গ্রীষ্মে গরম থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। আর গ্রীষ্মকে নিয়ে গল্প, কবিতা, ছড়া, গান, ইত্যাদি কম রচিত হয়নি। আর এই গ্রীষ্মে ঝড়ো বৃষ্টির সুবাদে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠে। কেননা এটি ফসলের জন্য উপকারী। একই সঙ্গে এই ঋতুতে আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, ফুটি, তরমুজসহ হরেক রকম সুস্বাদু ফল-ফলাদির সুগন্ধে সকল জনপদ মৌ মৌ করে। অথচ এবার ব্যতিক্রম। শুধু বাংলাদেশ নয়, তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, চীন, লাওস, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া সহ প্রভৃতি দেশ। ইতিমধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপপ্রবাহ দীর্ঘ, ঘন ঘন এবং দিন দিন আরও তীব্রতর হয়ে উঠছে। আর এর ফলশ্রুতিতে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে অর্থনৈতিক ক্ষতি সহ বহু মানুষ অকালে মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সবচেয়ে খারাপ তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছে এবং গড় তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে অধিক তাপপ্রবাহের মুখে পড়েছে। এর সপক্ষে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন যে, কয়েক বছর পরপর গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলগুলোয় ‘এল নিনো’র (খ. ঘরহড়) প্রভাব দেখা দেয়। দুঃখের বিষয় হলো যে, বৈশি^ক খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড় ও বন্যার মতো যত বিপর্যয় আছে, তার অধিকাংশই ঘটছে এই দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এল নিনো কি, এবং কি এর বৈশিষ্ট্য ? এ ব্যাপারে সম্যক ধারনার জন্য এল নিনো সম্পর্কে বলতে গেলে তার বিপরীত লা লিনা সম্পর্কেও বলা সমীচীন বলে মনে করি। বস্তুত এল নিনো স্প্যানিশ শব্দ, যার অর্থ হলো ছোট ছেলে। এটি জলবায়ুর একটি প্যাটার্ন, যা মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহা সাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চ তাপমাত্রা দ্বারা চিহ্নিত। সাধারণত এল নিনো প্রতি ৪ থেকে ৭ বছর পরপর একবার দেখা যায়। আর গত কয়েক বছর ধরে এই এল নিনো দেখা দিয়েছে এবং যা বেড়েই চলেছে। মজার ব্যাপার হলো যে এর বিপরীত হলো লা নিনা (খধ ঘরহধ)। এটিও স্প্যানিশ শব্দ, যার অর্থ হলো ছোট বালিকা। লা নিনা চলাকালীন সময়ে সমুদ্রের গভীর থেকে ঠান্ডা পানি উপরিভাগে উঠে আসে। ফলে উক্ত প্রশান্ত মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সহজভাবে যদি বলি, তা হলে এই দাঁড়ায় যে, এল নিনো যেমন তীব্র তাপ প্রবাহের কারন; তেমনি লা নিনা এর উল্টোটা অর্থাৎ ঠান্ডা প্রবাহের কারন। আর দুটি নামই এক্ষেত্রে রুপকভাবে নেয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। আসলে এটি সাউর্দান অসকিলেশন নামক আবহাওয়ার ধরনের দুটি অংশ। এক্ষেত্রে এল নিনো উষ্ণায়ন পর্যায় এবং লা নিনা শীতলকরণ পর্যায়কে বুঝায়।
(আ) সত্যি কথা বলতে কি, চলমান দাবদাহ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। হাসপাতালে ডাইরিয়া, আমাশয়, কাশী ও জ¦রের কারনে রোগীদের ভীঁড় বাড়ছে এবং প্রত্যহ হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর খবর আসছে। আর ঘাম এতো বেশি হচ্ছে যে এই কারনে টয়লেট তথা ওয়াশরুম ব্যবহার ৫০ পারসেন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। এদিকে হিট ষ্ট্রোকের লক্ষনের ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি; মাথা ব্যাথা; ক্ষুধা মন্দা; শারীরিক দুর্বলতা; মাংস পেশিতে ব্যাথা ও খিল লাগা; এলোমেলো আচরন; খিচুনী ও মুছা যাওয়া। শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখির উপর এর প্রভাব পড়েছে। গবাদি পশুর গায়ে জ¦র ও পেটে গ্যাস জণিত কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং দুধের উৎপাদন কমে গিয়েছে। তাছাড়া গরু ও মুরগীও কম মারা যাচ্ছে না ? লিচুর গুটিসহ কচি আমগুলো ঝরে পড়ছে এবং অন্যান্য ফলজ বৃক্ষের একই অবস্থা। আর এই তীব্র খরার কারনে ধানসহ অন্যান্য শষ্য চিটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য যে, দাবদাহে বোরো ধানের উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে। কেননা উল্লেখযোগ্য পরিমান বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠলেও এখনো দেশের বেশকিছু এলাকায় ধান কাটা হয়নি। এদিকে তীব্র গরমে ধানসহ অন্যান্য ফল ফলাদি ও ফসলের বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য যে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারা দেশে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ২২ লাখ ৫৬৪ টন। তবে চলমান অতি তাপে উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এবার। কেননা, ২০২১ সালে কয়েক ঘণ্টার হিটশকে ৩ লাখ কৃষকের ২১ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য যে, ধানের জন্য ক্রিটিক্যাল টেম্পারেচার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গিয়েছে; যা ধানের জন্য সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে ধান নষ্ট বা চিঁটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত খরায় পাট ও মরিচসহ মাঠের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চাষিরা। এদিকে দেশের ইতিহাসে এবারের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবদাহে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে গিয়েছে বেশির ভাগ এলাকায়। অধিকন্তু প্রচন্ড খরায় নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওর-বাওর শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুঃখের বিষয় হলো যে এই দাবদাহে খেত মজুর সহ দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে পারছেনা বলে আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছে।
এটা সত্য যে মানুষ মানুষের জন্য। সারা দেশে প্রবাহমান দাবদাহে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ ও বিপর্যস্থ। এই গরমে ঢাকা রাজধানীর সাধারণ মানুষ, পথচারী, রিক্সাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ পার করছেন অসহনীয় দুর্ভোগ। তাদের স্বস্থি দিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে সুপেয় পানির ট্যাংক। যেমন- মতিঝিল, শাপলা চত্ত্বর, পল্টন, টিএসসি, নীলক্ষেত মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, বাটা সিগন্যাল, ফার্মগেইট, বিজয়নগর, কাওরান বাজার, মগবাজার, গুলশান, গ্রিনরোড, মিরপুর, মোহাম্মদপুর এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সহ আরও বেশ কিছু জায়গা। আর এই মহতী কাজের জন্য এগিয়ে এসেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও ঢাকা ওয়াসাসহ নানা সরকারী, সামাজিক, রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে বর্তমান সেবাধর্মী মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের অবদান প্রণিধানযোগ্য। তাছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে এ সেবা দান করে চলেছেন। এ কার্যক্রম শুধু পানি নয়। পানির সঙ্গে লেবু, চিনি ও স্যালাইন মিশ্রন করা হয়। আর রাজধানী সহ অন্যান্য শহরাঞ্চলে তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঠান্ডা লেবুর সরবত, ডাব, কোল্ড ড্রিঙ্ক, ইত্যাদি দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ফ্যান ও এসির দোকানে ক্রেতার চাপ পড়েছে। রাস্তায় তাল পাখাও কম বিক্রি হচ্ছে না ? কথায় বলে কারও সর্বনাশ, আবার আর কারও পৌষ মাস। আর সেই অবস্থায় দাড়িয়েছে লবণ চাষী। এক্ষেত্রে এই খরা তাদের অনুকূলে গিয়েছে বিধায় চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে, যা গত সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এতদ্ব্যতীত হাওরের কৃষকরা এবার বাম্পার ফলনের জন্য হাসি মুখে বুক বেঁধে আছে।
(ই) এখন সারা দেশ জুরে সবার মুখে মুখে একই কথা, এই প্রচন্ড খরা কতদিন চলবে ? কখন বৃষ্টি হবে ? এদিকে গরম থেকে মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি প্রার্থনা করে ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত করা হচ্ছে। এতদ্ব্যতীত কুসংস্কার হলেও অনেক জায়গায় বৃষ্টির জন্য ঘটা করে ব্যাঙের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মাঝে মধ্যে “আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দেরে তুই…” মর্মে গান কানে ভেসে আসছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহের কারনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত সোমবার দুপুরে শিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ নির্দেশ দেয় আদালত। পরে বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (৩০/০৪/২০২৪) দেশের ২৭ জেলার সকল স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো আরেক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাহোক এর মধ্যে আওহাওয়াবিদরা স্বস্থির কথা শুনিয়েছেন। তারা বলেছেন যে, বড় কোন পরিবর্তন না হলে ৫/৬ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
(ঈ) বস্তুত প্রকৃতি তার মতো করে চলে। কোন সৃষ্টি তথা জীবজন্তুর কি হলো বা ভাল কি মন্দ হলো তা হিসাব নিকাশ করে চলে না। তাই আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় করে চলা সমীচীন। কেননা প্রকৃতির অবদানের কারনে আমরা বেঁচে আছি। কিন্ত আমরা ওসব মনে রাখি না। প্রকৃতির উপর মাতব্বরী করি অর্থাৎ প্রকৃতিগত পরিবেশকে নিয়ে কি না করছি? এক কথায় ছিনিমিনি খেলছি। যেমন- দেদারছে গাছ কাটছি; নদীর গতিপথ পরিবর্তন করছি; গ্রীন হাউজ গ্যাস ক্রমাগত বাড়িয়ে চলছি; ইত্যাদি; ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো যে, আমরা পরিবেশকে নষ্ট করে আমরাই আবার সিম্পোজিয়াম ও সেমিনারে লম্বা লম্বা নীতিবাক্য আওরাচ্ছি। শুধু বর্তমানের এই দাবদাহ বা খরা নয়, সব রকম দুর্যোগের নেপথ্যে আমাদেরই কালো হাত আছে। তাই বিশ^জনীনভাবে আমরা পৃথিবীবাসী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যতখানি আমাদের সাধ্য আছে, পরিবেশের প্রতি হুমকী না হয়, সেসব অযাচিত কিছু না করি। পরিশেষে গ্রীন হাউজ এ্যাফেক্টের কথা জেনেও, সে নেতিবাচক কাজ থেকে কতখানি সরে এসেছি, সে প্রশ্নের জবাব বিশ^বাসীর বিবেকের কাছেই ছেড়ে দিলাম।
সহায়ক সূত্রাদি:
১। উইকিপিডিয়া।
২। বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯/০৪/২০২৪ ইং এবং ৩০/০৪/২০২৪ ইং)
৩। দৈনিক আমাদের সময় (৩০/০৪/২০২৪ ইং)
৪। দৈনিক সংগ্রাম (৩০/০৪/২০২৪ ইং)
৫। দৈনিক দেশ রুপান্তর (৩০/০৪/২০২৪ ইং)
৬। দৈনিক বাংলা (০১/০৫/২০২৪ ইং)
৭। দৈনিক সমকাল (০১/০৫/২০২৪ ইং)
৮। লেখকের দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞতা।
(লেখক : বিশিষ্ট গবেষক, অর্থনীতিবিদ এবং লেখক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্ত।)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর