মোঃ নুরুল ইসলাম মোল্লা (অনিক)।।
জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আমি প্রাইভেট কম্পানিতে, ডিরেক্ট সেলস এন্ড মার্কেটিং এ কর্মরত।
আজকে অফিসের কাজে মার্কেট ভিজিটে যাওয়ার জন্য বের হলাম। আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম থেকে- সি ই পি জেট চট্টগ্রাম, যাবো এই জন্য বাস কাউন্টারে গেলাম, টিকেট ক্রয় করার জন্য। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী টিকেট এর দাম বৃদ্ধি পেয়ে 60% এর ও উর্ধমুখী । যেমন: *20 টাকার ভাড়া বেড়ে 32 টাকা। তেমনি রিক্সা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে *50 টাকার ভাড়া 80/100 টাকা। *CNG 150 টাকার ভাড়া 220/250 টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার- শাক সবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
আমার কথা এই পরিপ্রেক্ষিতে নয়। আমি যা বলতে চাচ্ছি, বাংলাদেশের অনেক শিক্ষিত লোকজন সেলস এন্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এ কর্মরত। আর মার্কেটিং এর জব চালিত হয় টার্গেট নিয়ে, এখন মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, প্রাইভেট কম্পানিগুলোর বেশিরভাগই ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রেসারাইজ করা হচ্ছে বা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, টার্গেট না হওয়ার জন্য TA/DA, Salary 50% or 60% দেওয়া হবে। এমনও বলা হচ্ছে টার্গেট হয়নি তাই salary দেওয়া হবে না। সাধারণত এমনিতেই মার্কেটিং জব এর টার্গেট এচিভ করা খুবই কঠিন হয়ে পরে।
আর এখন নোভেল করোনা ভাইরাস এর মধ্যে টার্গেট এচিভ এর প্ৰশ্নই উঠে না। তারপরও ফ্যামিলির চিন্তা করে একটি মার্কেটিং এর সাধারণ কর্মরত সেলস পার্সন (COVID-19) করোনার ভয় না করেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে যায়।
তার প্রতিদান কি উপরি-উক্ত বিষয় বস্তুগুলো? উচ্চ শিক্ষার মূল্যায়ন কি বাংলাদেশে এই রকমই রয়ে যাবে ??
(লেখকঃ বিবিএস(অনার্স),এমবিএস(মাস্টার্স) -মাকেটিং-(এলএল.বি)। বর্তমানে কর্মরত-টেরিটরি ম্যানাজার
“নকিয়া মোবাইল ফোন”, ন্যাশনাল ডিসটিবিউটর(ইউনিয়ন গ্রুপ) চট্টগ্রাম অঞ্চল)