ড. আলো ডি’রোজারিও
১। বেশ কয়েক মাস হয় আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। আজোবধি কারো জানা নেই আর কতদিন এইভাবে চলবে। আমাদের দেশের অগ্রগতির খবর এই করোনাকালেও থেমে নেই। এই বছরের বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বিশ্বে ধান উৎপাদনে আমরা তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেছি। বাংলাদেশের এই তৃতীয় স্থানে উঠে আসার আগে ইন্দোনেশিয়ার দখলে ছিল এই স্থানটি, ইন্দোনেশিয়ার বর্তমানের স্থান এক ধাপ পিছিয়ে গিয়ে হয়েছে চতুর্থ। বিশ্বে ধান উৎপাদনে প্রথম স্থানে আছে ভারত আর দ্বিতীয় স্থানে চীন। ধান উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম ১০টি দেশ- ভারত, চীন, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, ফিলিপাইন, ক্যাম্বোডিয়া ও পাকিস্তান। ধান উৎপাদনকারী প্রথম দিককার এই ১০টি দেশই রয়েছে আমাদের এশিয়া মহাদেশে। বিশ্বে প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত বা চাল হতে তৈরী অন্যান্য খাবার। আর বিশ্বের চাল ব্যবহারকারীদের ৯০ শতকরাই বসবাস করেন এশিয়া মহাদেশে। কয়েক বছর হয় আমাদের দেশ বাংলাদেশ মোট বাৎসরিক প্রয়োজনের চেয়ে বেশী ধান উৎপন্ন করছে। তাই কিছু কিছু উন্নত মানের চাল বাংলাদেশ রপ্তানি করতে পারছে।
আমরা সবজি ও ফল রপ্তানি করছি অনেক বছর যাবৎ। ডিম, মাছ ও মাংস উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি। এখন বাড়তি নজর দিতে হবে ডাল, সরিষা, পিঁয়াজ, রসুন ও আদা উৎপাদনে, এই বিষয়ে জোর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। বর্তমানের এই সংকটকালে আমাদের মধ্যে যাদের সুযোগ আছে, জমি আছে ও কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে তারা চাষবাস বাড়ির আশেপাশে শুরু করতে পারি। অনেকে নিশ্চয় ইতোমধ্যে শুরুও করেছেন, তাদেরকে জানাই অভিনন্দন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারংবার আহবান জানাচ্ছেন, প্রতি খণ্ড চাষাবাদযোগ্য জমিতে কিছু না কিছু উৎপাদন করতে। তাতে আমাদের ভবিষৎ খাদ্য সুরক্ষা আরো জোরদার হবে। ভবিষৎ খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে অন্যান্য আর্থিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে আমরা আরো বেশী সময় দিতে পারবো।
২। আমরা জানি, বর্তমানের এই করোনা সংকটের উৎপত্তি চীন দেশে এবং সেখান থেকেই এটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তা কীভাবে ঘটেছে, এটা কী মনুষ্য-সৃষ্ট দুর্ঘটনা না প্রাকৃতিকভাবে ঘটা বিষয়, এখনো তা স্পষ্ট না। এই বিষয়ে একাধিক থিওরি বাজারে প্রচলিত এবং সেসব থিউরি অদ্যাবধি তদন্তাধীন বলে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে প্রকৃত সত্য জানতে। আশা করি, প্রকৃত সত্য জানতে আমাদের আর বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না। তবে একটা বিষয়ে অনেক দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ একমত যে, শুরুর দিকে চীন করোনা বিষয়ে তথ্য গোপন করেছে, ফলে অনেক দেশ করোনার ভয়াবহতার প্রকৃত চিত্র বুঝে উঠতে পারে নি। তাদের অভিমত, চীন যদি এই বিষয়ে তথ্য গোপন না করত তবে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ও এর ফলে মৃত্যুর হার আরো কম হতো।
করোনা বিষয়ে চীনের ভূমিকায় সন্দেহের জেরে অনেক কিছু ঘটে গেছে এবং আরো কিছু হয়ত ঘটতে যাচ্ছে। যা যা ঘটেছে সেসব বাদ দিয়ে যদি ভবিষৎ পানে তাকাই তবে এটা স্পষ্টতর হচ্ছে যে বিশ্বের অনেক দেশই চীনের ওপর নির্ভরতা কমাবে, চীন থেকে রপ্তানী কমিয়ে দিবে, তাদের কারখানা ও প্ল্যান্ট চীন থেকে সরিয়ে অন্য কোন সুবিধাজনক দেশে নিয়ে যাবে। জাপান সরকার তো ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে কোটি কোটি ডলারের, যা কী না সাহায্য হিসেবে দেয়া হবে সেসব জাপানী কোম্পানীকে, যারা চীন হতে তাদের কোম্পানী সরিয়ে আনবে। জাপানের জনপ্রিয় সনি কোম্পানী চীন হতে সরে আসার কথা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। আরো কয়েকটি জাপানী কোম্পানী এই বিষয়ে উদ্যোগ-আয়োজন শুরু করেছে।
পৃথিবীর সব অতীত সংকট থেকে একটি অভিন্ন শিক্ষা, যেকোন সংকট নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। করোনাকালে ও সামনের দিনগুলোতে বিশ্বের নতুন নতুন সুযোগে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ কতটুকু হবে? এটা নির্ভর করবে আমাদের গবেষক, উন্নয়নবিদ, পরিকল্পনাবিদ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও আমলাদের যৌথ প্রয়াস এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সুদূরপ্রসারী কৌশল গ্রহণ করার দক্ষতার ওপর। এই বিষয়ে ভারত অনেকটা এগিয়ে, তারা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, চীন হতে সরে আসা কোম্পানীগুলোর জন্য যে জায়গাটি বরাদ্দ করা হচ্ছে তার আয়তন হবে ইউরোপের দেশ লুক্সেমবুর্গের দ্বিগুণ।
৩। জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পূর্বাভাস মতে করোনা ভাইরাসের বর্তমান এই দাপটীয় প্রভাব যদি বিশ্বব্যাপী আরো কয়েক মাস স্থায়ী হয় তবে আগামী বছরের শুরুতে বিশ্বের অনেক দেশে চরম দরিদ্রদের সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। দ্বিগুণ হয়ে যাবে দরিদ্র্রদের সংখ্যাও। নতুন করে আরো ৬০ কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে পরবে। দৈনিক যাদের সর্বোচ্চ আয় ১.৯০ ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় সর্বোচ্চ ১৬২ টাকা, তাদের চরম দরিদ্র বলা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে দরিদ্র ও অতি দরিদ্রদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতকরা বা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ধরে হিসেব করলে। ভেবে ঠিক বুঝতে পারছি না, আবার কোন্ অন্ধকারের পানে হবে আমাদের যাত্রা! আমরা কি আবার পিছিয়ে পরব? আমাদের গত এক দশকের কষ্টার্জিত অর্জন ও অগ্রগতি কী করোনা নামক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাস তছনছ করে দিবে? নিশ্চয় না। আমাদের ভিবেচিন্তে এগুতে হবে যেন আমরা উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে পারি, গতি কিছুটা মন্থর হলেও।
আমাদের জাতীয় আয়ের প্রধান তিনটি খাতের (তৈরি পোশাক, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ও কৃষি) বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোর উদ্যোগ সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা নিচ্ছেন, বেক্সিমকো ফার্মার ৬৫ লাখ মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানী গত ঈদের দিনে শুরু করা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ । পাশাপাশি সেবা খাতের, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও আইটি ভিত্তিক সেবাদানের ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের চাহিদা দেশে ও বিদেশে প্রচুর বাড়ছে বিধায় এই সুযোগটাই আমাদের সামনে একদম খোলা। কি দেশে কি বিদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নয়ন ঘটবে। তাই লাগবে বাড়তি জনবল- স্বাস্থ্য-গবেষক, ডাক্তার, নার্স, হেলথ-টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাদানকারী। এখনই উদ্যোগ নিলে, সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে প্রশিক্ষিত করলে, বিশ্ব বাজার উন্মুক্ত হবার সাথে সাথেই আমাদের দেশের চাহিদা মেটানোর পরও স্বাস্থ্যসেবাখাতের অনেককে আমরা বিদেশে পাঠাতে পারবো। এই সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না।
৪। আমি আগে বিভিন্ন মাংস কিনতে যে যে দোকানে যেতাম সেসব দোকানে আর যাই না। ফোন করলে মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়। মাংসের দাম নিচ্ছে আগেরটাই, যেই দামে দোকানে গিয়ে কিনতাম।একই ভাবে মাছও কেনা যাবে, অনেকগুলো ফোন ও ম্যাসেজ পেয়েছি পছন্দের মাছ সরবরাহ করা বিষয়ে। এখন পর্যন্ত মাছ কিনছি বাসায় থেকেই, মাছওয়ালাদের কাছ হতে। ঈদের আগের দিন আমাদের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক একটি সুখবর দিলেন, বিকল্প বিপণন বিষয়ে, যা হচ্ছে অ্যাপস্ ভিত্তিক শতাধিক এজেন্সীর সমন্বয়ে ও যৌথ প্রয়াসে, কৃষিজ দ্রব্য কৃষকের ক্ষেত থেকে সরাসরি ভোক্তার দোরগোরায় পৌঁছে দেবার জন্যে। এই সময়োপযোগী উদ্যোগ যার নাম- ফুড ফর নেশন, কৃষকদের উৎপাদিত দ্রব্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে, ভোক্তারাও সহজে ও সঠিক দামে তাজা শাকসবজি ও পরিপুষ্ট ফলমূল পাবেন। অ্যাপস্ ভিত্তিক যাতায়াত সেবা নেয়া, খাবার কেনা, বইসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনাকাটা তো আগে থেকেই চলছে; বর্তমানে তা দ্রুত বাড়ছে।
এখন এই করোনাকালে বাস্তবতা হচ্ছে- হোম অফিস, ভার্চুয়াল মিটিং, ভিডিও তৈরি ও আপলোডিং, ওয়েভিনার, নেটভিত্তিক ভর্তি, ক্লাশ ও পরীক্ষা। ফোন, নেট ও অ্যাপস্ ভিত্তিক বিকল্প সেবাই আমাদের অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকাকে সচল ও গতিশীল রাখবে বহুলাংশে। এই খাতে লক্ষ লক্ষ দক্ষ জনবল লাগবেই লাগবে। ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার এই নতুন পরিস্থিতির বাস্তব পদক্ষেপ হচ্ছে, বিকল্প পথে সেবা, বিকল্প ভাবে বিপণন, বিকল্প উপায়ে শিক্ষা, বিকল্প ধারায় ব্যবসা; আর এসবের জন্য চাই- পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও পুঁজি। আমাদের সরকার চারটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে যেন করোনার এই সংকটকালে যুবকসহ নতুন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও পুঁজি দিয়ে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা ও উদ্যোক্তা তৈরি করা যায়। সরকারের পাশাপাশি আমাদের এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিষয়ে প্রাক্-সমীক্ষা চালিয়ে বাজারের চাহিদা ভিত্তিক উদ্যোগ নিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫। অতীতের বিভিন্ন মহামারীকে উপজীব্য করে লেখা হয়েছে বেশ কয়েকটি নাম করা উপন্যাস। মহামারীকে ঘিরে এবারও নিশ্চয় লেখা হবে শত শত লেখা, ডজন ডজন গল্প ও উপন্যাস, যার মধ্যে কিছু কিছু হয়ে যাবে কালজয়ী। গল্প ও উপন্যাসের পাশাপাশি থাকবে গবেষণাধর্মী লেখাও। গল্প ও উপন্যাস আমাদের সামনে তুলে ধরে মানুষের সুখ-দুঃখের জীবন, তা বাস্তবে যেমন আছে। আর গবেষণাধর্মী লেখা আমাদের বলে দেয়, জীবনটা কেমন ছিল, কেনো জীবনটা এমন হলো, কী কী করলে ভবিষতে জীবন আরো ভালো হবে। বর্তমান সংকট কালে মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস আরো বেশি বেশি গবেষণাধর্মী কাজ করতে আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ
– কাজের ধারায় আমূল পরিবর্তন আনতে
– সাধারণ মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখের গল্প সংগ্রহ করতে
– সব উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক গবেষণাগার হতে
– সংগৃহীত জীবনের গল্প, ভালো উদাহরণ ও অভ্যাস বিশ্লেষণ করতে
– অনুধ্যানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনের ধারা ও প্রত্যাশা উপলব্ধি করতে
– প্রার্থনা ও সংহতি প্রকাশের মাধ্যমে তাদের সাথে একাত্ম হতে
– সমন্বিত মানব উন্নয়নে যারা ব্রতী ও উদ্যোগী তাদের সহযোগী হতে
– মূল্যায়ন করে নতুন শিক্ষা নিতে ও সে শিক্ষা কাজে লাগাতে
মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস ভাটিকানের সমন্বিত মানব উন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে গত তিন মাসে অনুষ্ঠিত একাধিক সভায় অন্যান্য আরো বিষয়ের সাথে বিশেষ জোর দেন- নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় সরল ও সাদাসিধে জীবনযাপনের ওপর। তিনি পৃথিবী ও প্রকৃতির প্রতি আরো যত্নশীল হওয়ার পরামর্শও রাখেন।
৬। কথায় বলে, গুড় অন্ধকারেও মিষ্টি লাগে। অর্থাৎ ভালো জিনিসের গুনাবলী সবখানে ও সবসময় অপরিবর্তিত থাকে। যেমন প্রকৃত ভালো মানুষ কোন পরিস্থিতিতেই পাল্টায় না। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, সুযোগ পেলেই যারা খারাপ তারা আরো বেশি খারাপ হয়। যেকোন সংকটে তাই শিশু নির্যাতন বাড়ে, মানব পাচার বাড়ে, মানুষ বেশি বেশি ফাঁদে পড়ে, পতিতাবৃত্তি নতুন গতি পায়, গৃহে সহিংসতা বাড়ে, বেড়ে যায় বাল্যবিবাহ, মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, বেড়ে যায় পর্ণোগ্রাফির ব্যবহার ও খুন-খারাপি। গত তিন মাসে ফিলিপাইনে ডিজিটাল শিশু পর্ণোগ্রাফির ব্যবহার তিন গুণ বেড়েছে, থাইল্যান্ডে গৃহ-সহিংসতা হয়েছে দ্বিগুণ, আমাদের দেশে বেড়ে যাচ্ছে অপরাধের সংখ্যা।। অন্যান্য নেতিবাচক খবরও দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
আমরা সকলে সাবধানে থাকবো, সতর্ক থাকবো। পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সাহায্যের হাত বাড়াবো, প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিব। সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস রেখে প্রার্থনা করবো। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে ও সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের ও প্রতিবেশীদের নিরাপদ রাখবো। নিজের ভালো-মন্দ বিবেচনা করার সময় অন্যের ভালো-মন্দও বিবেচনায় নিবো। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলের সহায় হোন।
( লেখক : প্রেসিডেন্ট, এশিয়া কারিতাস)