১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, সকাল ৮:৩৯
নোটিশ :
Wellcome to our website...

আজ বঙ্গবন্ধু গবেষক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন

রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

আজ ৮ ফেব্রুয়ারি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক ও কবি  মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতে কলাবতী মুদ্রা থেকে তাঁর একটি গবেষণা গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয়েছে। অপরদিকে ২০২৪-এর অমর একুশে বইমেলাতে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি প্রবর্তিত ‘‘দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩’’ অর্জন করেছেন।  বাংলা সাহিত্যে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে এই স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়েছে।এর আগে পশ্চিমবঙ্গের লেখক মহাশ্বেতা দেবী, বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ফিরোজা বেগম ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী, অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া এবং নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।

  কলকাতায় ‘‘দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩’’ নিচ্ছেন মিল্টন বিশ্বাস 

উল্লেখ্য, ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং অধ্যাপক মিল্টন এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ পেয়েছেন। সেই সম্মাননা স্মারকে বলা হয়েছে, ‘‘অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু গবেষক এবং কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। সাহিত্য-সমালোচক হিসেবেও খ্যাত৷ আপনার গবেষণার বিষয় নির্বাচনে নতুনত্ব আছে এবং গবেষণা ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। গবেষক হিসেবে আপনার নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততাকে বরণ করে ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ প্রকাশের শতবর্ষ উদযাপনের শুভ লগ্নে ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’-এর পক্ষ থেকে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ অর্পণ করা হলো। এর আগে ভারতের বিচারপতি সুধেন্দু মল্লিক, বিচারপতি চিত্ততোষ মুখার্জি, সুপ্রিয় ঠাকুর, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও সমাজকর্মী অরোমা দত্ত প্রমুখ এই পদক লাভ করেন।

জানা গেছে, মিল্টন বিশ্বাস ইউজিসি পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে  ‘‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু’’ শিরোনামে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে গবেষণায় তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ‘জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসুর কাব্যচিন্তা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯৯৯ সালে এমফিল এবং ‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ’ রচনার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২২ বছর যাবৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত। তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ বহু দেশে সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন।

২০২৪ সালে কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত শতবর্ষে রণজিৎগুহ ও সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব

 মৌলিক ও সম্পাদনা মিলে মিল্টন বিশ্বাসের গ্রন্থের সংখ্যা ২৫। প্রবন্ধ ৪৭টি এবং ৪ হাজারের অধিক তাঁর লেখা কলাম রয়েছে। দেশের বিশিষ্ট কলামিস্ট হিসেবে তিনি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে চলেছেন। ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামে’র তিনি সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য।তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক এবং ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি)-এর সেক্রেটারি। তাঁর জন্ম পাবনা শহরে। পিতা সঞ্জয় বিশ্বাস, মাতা মুক্তি বিশ্বাস।

তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম- শতবর্ষে রণজিৎ গুহ ও সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব(দ্বিতীয় সংস্করণ ২০২৪), শেখ হাসিনা : আশ্রয়হীন মানুষের ঠিকানা (২০২১), শেখ হাসিনা : নেতা ও রাষ্ট্রচিন্তক (২০১৫), শিল্প-সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু (২০১৭), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ (২০০৯), উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু (২০২০), বিশ্বজুড়ে শেখ হাসিনা (২০২০), কারাগারে বঙ্গবন্ধুর দিনগুলো (২০২০) প্রভৃতি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর