১)
ভিজে মাটি।।
আবেগের বাতাসে দোলে বুক,
চারিদিকে দুরাশার কালো ছায়া –
শূন্যতায় ভিজে যায় শ্বাস,
শ্রাবণ হয়ে ঝরে,
উঠোনে জল জমে এক-পুকুর।
নেই তাতে স্রোত, ঢেউ
আছে শুধু সোঁদা মাটির গন্ধ…।
২)
উত্তরণের সাথে।।
জলে পা ডুবিয়ে খেলছিলাম কুমিরডাঙ্গা –
কখন যে গোধূলি এসেছে খেয়ালই করিনি।
হলুদ আলোর ঝিকিমিকি রোদ্দুর,
কখনো দুরাশার আলতো ছায়া –
দুঃস্বপ্নগুলো চৌকাঠে দাঁড়িয়েছে।
ক্রন্দসি কায়ার শেষে –
নিপুণ হিসেবিতে উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা…
অপূর্ণতা আর ব্যর্থতাগুলো স্থান পাইনি চোরা কুটুরিতে,
ফল্গুর ছোঁয়া পেতে সীমানা পেরোয়।
জলকণা বুকে নিয়ে বসে জানালার পাশে,
নৌকা বাঁধা আছে ফেরিঘাটে …।
(অর্পিতা ঘোষ, নদীয়া, ভারত, কাব্যগ্রন্থ ” পাথর পাতা নদী” ও গল্পগ্রন্থ ” জীবন কুড়ানো প্রহর”)