১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ভোর ৫:৩৮
শিরোনাম :
শিরোনাম :
।। ড. মিল্টন বিশ্বাসের জীবন ও কর্মকথার রূপরেখা ।। সলিমুল্লাহ খানের ‘‘ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়: ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা’’ ।। জগন্নাথে ফেঁসে যাচ্ছে ‘সিসিডিবি’ এনজিও ।। ।।নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার দ্বিতীয় দিন।। নিউইয়র্কে ৩৪তম আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন ।। নিউইয়র্ক মুক্তধারা বইমেলা : বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা ।। ড. নূরুন নবীর পদত্যাগ এবং মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের নীতিগত অবস্থান বিশ্বসভায় বাংলাদেশ ও বাঙালির জয়গান ইসিটি : ধর্মীয় ঐক্য, সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণার এক অনন্য যাত্রা ।। ইসিটি’তে ‘‘পবিত্র বাইবেল ও আইনের দৃষ্টিতে নির্যাতিতদের করণীয়’’ শীর্ষক আলোচনা সভা ।। ।। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ফেয়ার ২০২৫ ।। বর্ণিল সাজে সেজে উঠেছে ডাইভার্সিটি প্লাজা
নোটিশ :
Wellcome to our website...

সাব-অল্টার্ন তাত্ত্বিক মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন ৮ ফেব্রুয়ারি

রিপোর্টার
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি)-এর সেক্রেটারি ড. মিল্টন বিশ্বাসের জন্মদিন ০৮ ফেব্রুয়ারি । তিনি একাধারে অধ্যাপক, গবেষক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক ও কবি ।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে সাব-অল্টার্ন তত্ত্বের এই গবেষকের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতে কলাবতী মুদ্রা থেকে একটি গবেষণা গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয়েছে । অপরদিকে ২০২৫-এর অমর একুশে বইমেলাতে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।
তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি প্রবর্তিত ‘‘দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণ পদক-২০২৩’’ অর্জন করেছেন । বাংলা সাহিত্যে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে এই স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়েছে । এর আগে পশ্চিমবঙ্গের লেখক মহাশ্বেতা দেবী, বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ফিরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া এবং নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে এই পদকে ভূষিত করা হয় । উল্লেখ্য, ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’ ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং অধ্যাপক মিল্টন এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ পেয়েছেন । সম্মাননা স্মারকে বলা হয়েছে, ‘‘অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস গবেষক এবং কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট । সাহিত্য-সমালোচক হিসেবেও খ্যাত ৷ আপনার গবেষণার বিষয় নির্বাচনে নতুনত্ব আছে এবং গবেষণা ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন । গবেষক হিসেবে আপনার নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততাকে বরণ করে ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ প্রকাশের শতবর্ষ উদযাপনের শুভ লগ্নে ‘আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটি, ভারত’-এর পক্ষ থেকে ‘দীনেশ-রবীন্দ্র পত্র’ সম্মাননা ২০২৩ অর্পণ করা হলো ।’’ এর আগে ভারতের বিচারপতি সুধেন্দু মল্লিক, বিচারপতি চিত্ততোষ মুখার্জি, সুপ্রিয় ঠাকুর, বাংলাদেশের মোস্তাফা জব্বার, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও সমাজকর্মী অরোমা দত্ত প্রমুখ এই পদক লাভ করেন ।
জানা গেছে, ইউজিসি পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে মিল্টন বিশ্বাসের গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। ব্যতিক্রমী বিষয়ে কাজ করে ইতোমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । ‘জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসুর কাব্যচিন্তা’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ১৯৯৯ সালে এমফিল এবং ‘তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ’ রচনার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন । ২০০০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন । তিনি ২৪ বছর যাবৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত । তিনি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ বহু দেশে সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা ২০২৪-এ ৩৩তম আসরে বিশেষ অতিথি ও সেমিনার বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ।
উল্লেখ্য যে, এর আগে ভারতের ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রবহমান বাংলাচর্চার আয়োজনে পৃথক দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশেষ বক্তা ও সভাপতিত্ব করার আমন্ত্রণ পান মিল্টন বিশ্বাস । গতবছর(২০২৪) ৩ এপ্রিল ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে ‘ভারতীয় সংস্কৃতি: অতীত ও বর্তমান’ নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র এবং ৫ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার দমদম মতিঝিল কলেজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রবহমান বাংলাচর্চার আরেকটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে অংশ নেন তিনি ।
এছাড়াও ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস মাইকেল মধুসূদন দত্তের দ্বিশত বর্ষ, চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের শতবর্ষ এবং কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসুর শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্বভারতী (শান্তিনিকেতন) বাংলা বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে ১৪ ও ১৫ মার্চ (২০২৪) বিশেষ অতিথি (বক্তা) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ১৩ মার্চ অপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি সুশীল কর কলেজে বক্তব্য প্রদান করেন । ড. মিল্টন বিশ্বাস কলকাতার উপনিবেশ বিরোধী এবং কর্পোরেট বিরোধী প্ল্যাটফর্ম ‘জ্ঞানগঞ্জ’ আয়োজিত একাধিক সেমিনার ও আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণ করেছেন ।
মৌলিক ও সম্পাদনা মিলে মিল্টন বিশ্বাসের গ্রন্থের সংখ্যা ২৫ । প্রবন্ধ ৪৭টি এবং ৪ হাজারের অধিক তাঁর লেখা কলাম রয়েছে । দেশের বিশিষ্ট কলামিস্ট হিসেবে তিনি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে চলেছেন । তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য। তাঁর জন্ম পাবনা শহরে। পিতা সঞ্জয় বিশ্বাস, মাতা মুক্তি বিশ্বাস। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম- শতবর্ষে রণজিৎ গুহ ও সাব-অল্টার্ন তত্ত্ব(দ্বিতীয় সংস্করণ ২০২৪), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্পে নিম্নবর্গের মানুষ (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ ও ব্রিটিশরাজ (২০১১), রবীন্দ্রনাথ : শেষ দশকের কবিতা (২০১১), রবীন্দ্রনাথ : নবজাতক (২০১১), পলাশীর প্রান্তরে আজ…(২০২৪, দেবোত্তম চক্রবর্তী ও মিল্টন বিশ্বাস সম্পাদিত) প্রভৃতি। মিল্টন বিশ্বাস শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কিত একাধিক ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-www.writermiltonbiswas.com, www.blrcbd.com, https://booksbdonline.com, https://greatinliterature.com.


এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর