জবি প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের উন্নয়ন এবং অর্জন করছে কিন্তু দুর্বৃত্তদের কিছু ঘটনার জন্য সকল অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দলের দুর্বৃত্তদের কারণে রাজনীতির প্রতি মানুষের অশ্রদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে।রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষের কাছে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক সেমিনারের (জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তন) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালিদের দীর্ঘদিনের সুস্থ সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র এদেশবাসী কখনো মেনে নেয়নি। ধর্মান্ধ জঙ্গিরা তাদের কাজে সফল হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে দেশবাসীকে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সাথে করে এ সকল ধর্মান্ধ জঙ্গিদের সমূলে ধ্বংস করা হয়েছে। এখন মা-বাবারাও জঙ্গি সন্তানদের গ্রহণ করতে চায় না। সমাজে সাংস্কৃতিক জাগরণের ফলেই এটি সম্ভব হচ্ছে।
মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, “গুটি কয়েক দুর্বত্তের কারণে রাজনৈতিক নেতারা হেয় হচ্ছেন। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনলে দুর্বৃত্তায়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। আর তা না হলে সরকারের সকল উন্নয়নই বাধাগ্রস্ত হবে। তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ সাংস্কৃতিক জাগরণে দেশ আরো এগিয়ে যাবে, যেটা সংস্কৃতিমনা নেত্রী শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “ পূর্বেও বাঙালি সংস্কৃতি আগ্রাসনের শিকার হয়েছিল। বাঙালিদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা ভাষার ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু বাঙালিরা তাদের সকল দাবি আদায় করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি সংস্কৃতি, পহেলা বৈশাখ বিরোধিতাকারীরা তখনও ছিল, এখনও রয়েছে। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে সাংস্কৃতিক জাগরণের ভূমিকা অনস্বীকার্য, আর এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্বের।
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব মিল্টন বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিদের দমন করিয়ে সাংস্কৃতির জাগরণ ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আগে বাঙালি তারপর তিনি তার ধর্মীয় পরিচয় দিতেন। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতেন। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাঙালিদের কাছে সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করছেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়েছেন। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
সেমিনারে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। প্রবন্ধে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছেন সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী; সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট এ কে এম শহীদুল হক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফোরামের সদস্য-সচিব-২ সৌরভ জাহাঙ্গীর। এসময় প্রগতিশীল কলামিস্ট এবং তরুণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন আহসান হাবিব।