ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
দণ্ডিত শামসুল আলম বাবু বিশ্ববিদ্যালয়টির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জগলুল হোসেন এ রায় দেন।
বাবু রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। রায়ের দিন তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাকে সাজা পরোয়ানা জারি করে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে বলা হয়, আসামির বয়স ২৩ বছর। এই স্বল্প বয়স বিবেচনায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধিত/২০১৩) এর ৫৭ ধারায় ন্যূনতম সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ৫ আগস্ট বাবুর বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়া থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে এ মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। ওই বছরেরই ২১ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট সরকার ও রাজনৈতিক বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল আমিন সেতু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের ওপর একটি কলাম পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ওই লেখাটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোরশেদুর আকন্দ ফেসবুকে পোস্ট করেন।
ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শামসুল আলম বাবু তার ‘মো: কবির মামু’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।
আল আমিন সেতু লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে বাবুকে আটক করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী মিয়া তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে লিখিত অভিযোগ করেন।