সুইটি বনিক
হেমন্তের রাতে, স্বর্নচাপায় ভরে গিয়েছে মন
আমি এক নতুন রতন
চাঁদের সাথো কথা কইব বলে
নিশি জাগরন!
উদাসীন এই রাতে, জ্বলে সপ্তর্ষী,
মনের অঙ্গনে জমে থাকা মেঘ
কুয়াসায় শিশিরে ঝরে, বিবাদী আবেগ!
চর্যা পদের সহজ সুন্দরী রা হারিয়া পানে
মেতে থাকতো হেমন্তের চাঁদ হতে শিতের
পূর্ণিমা পর্যন্ত।
আর বসন্তে নিজেই এক নক্ষত্র হয়ে
বাতাসে মিশে যায় হারিয়ার মতন।
মাতাল চাঁদ, অজস্র কবিতার জন্ম!
আমি একপৃথিবী মাতাল চাঁদের
হাসি হবো হারিয়া পানে, হারিয়ে যাব চর্যার
আদিম সহজ উচি পর্বতে – এ আমার
আধ্যাত্মিক প্রেম- প্রকৃতির মাঝে–!
ভালবাসা ও বয়ে যায় নদীর মত, কচুরিপানা হয়ে ঘাটে ঘাটে
কোথাও থেমে যায় না, চলে নিরবধি অনন্ত কালে গন্তব্যে!
কখনো প্রেম – পুজার অর্ঘ হয়ে ভেসে যায় সেই স্রোতস্বিনীর বুকে!
দেবতার চরন
লয় না বাসিফুল!
জীবন – থেকে মরন পর্যন্ত যে তরঙ্গ,
আমি তার নাম দেই, জীবনামৃত! এখান থেকে মন্দ টুকু ফেলে অমৃত টুকু নিংড়ে নিতে হয়!
আমার মহোদয় আমার ভেতর প্রাণের সঞ্চার করেছেন, ভাবতেই আমি যেন চোখে জল চলে আসে!
সে কল্পনা ও করতে পারবে না, এযে তার জন্ম জন্মান্তরের এক আরাধ্য চাওয়া!
আমাকে দিয়েই বুঝি ঈশ্বর এ কাজটি করালেন!
ঈশ্বর তুমি আমাকে ও দয়া করলে
আমার মহোদয়ের সাথে সাথে!
তুমি তো আমাকে ধন্য করে দিলে এজগৎ সংসারে!
যার জন্য আমার মহোদয় ঘর ছাড়া!
তুমি তার কল্যেণ করো!
আমি কেমন করে তাকে এ বার্তা দেবো, সে কোথায় আছে ঈশ্বর!
সে আমার পায়ের কাছে বসে হাত জোর করে কেঁদে ফেললো, আজ বলল তুমি দেবী আজ থেকে।
আমি তোমাকে ঘরে নিয়ে যবো!
চলো
না আমার মহোদয় হঠাৎ করে কোন সিধান্ত নেবেন না!
না পলাশ চলো আজ আর কোন বাধা আমার মনে নেই
কোন সংশয় নেই।
চলো আমার ঘরে চলো রাজলক্ষ্মীর মতো।
এজীবন তোমার কাছে ধন্য।
তোমার যত্ন করবো আমি নিজ হাতে।
আমাকে ফেরাইও না!