সুইটি বণিক ।।
শরৎ নীলে-
তুমি হইও মাঝি
নীলাম্বর, আমি হব জলের ঢেউ,
ফ্রয়েডি চিন্তায় হারিয়ে যাব,
জানবে না কেউ!
মনের অন্তর দ্বন্দ্ব দ্বন্দ্বিত ছিলাম
বছর বার,
মাঝি বসন্ত আর আসবে না,
এ জীবনে হায়!
মহিম – অচলা – সুরেশ, এর
ত্রিকোণমিতি, ধ্বংস প্রেমে ;
শরৎচন্দ্রের
“গৃহদাহ ” হল।
কবি গুরুর
“নষ্ট নীড়” হল চারুলতা!
বঙ্কিম বাবুর
কপালকুণ্ডলা!
ওরা কেবলি আপন আপন ঘরে
গোপনে অন্তর দ্বন্দ্বে বাধা।
সমাজকে কেউ উপেক্ষা করতে
পারেনি মাঝি
ব্রাহ্ম কিংবা নিচু জাতে!
সমাজ নামের নোংরা চিন্তার
মানুষগুলোর দুষিত আবরণে,
বসন্ত চলে যায়,বারং বার, মাঝি!
সুস্থ চিন্তা -চৈতন্য
থেকে, অনেক দূর কিছু মূঢ়,
মস্তিস্ক বিকৃত মানুষ রূপি পেঙ্গুইন
পাখির মত ওরা কোর্ট পরা ভদ্র লোক।
মাঝি তুমি ও আমি
চল মানুষ হই,
মাইন্ড সেন্স,কিংবা মাইন্ড ভেলি
প্রয়োগ করে নয়।
বাস্তবতার কঠিন যুদ্ধে
কিছু অপ্রিয় সত্য তুলে ধরি,
হাস্যকর সমাজপতিদের,
মিথ্যা সাম্যবাদে
নিয়ে আসি, ফ্রয়েড,
এঙ্গেলস, লেলিনকে!
আর ভাংচুর করি, কিছু
মিথ্যা সংস্কারকে, যেখানে
মনের দূরত্ব কঠিনতর,
সেখানে মায়া; মমতা; করুণা
মোহজাল মাত্র!
স্বদেশী আন্দোলনের মত,
মিথ্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি,
যারা বিপদে পায়ে পড়ে গোপনে,
সেরে গেলে শৈবালের মত চিৎকার করে,
উচ্চস্বরে।
মাঝি, এসো শরৎ নীলে ভাসি,
দেবীর অপেক্ষায়।
অকাল বোধনে,
বিনাশ হোক যত মানুষ রূপী
অসুরকুল!
আমি আর তুমি ক্ষত্রিয়
যুদ্ধই আমাদের ধর্ম মাঝি।